দিব্যেন্দু মজুমদার, হুগলি: যমে-মানুষে টানাটানির পর দিব্যাংশু ঘরে ফিরলেও ঋষভ ফেরেনি। তাই ছেলে ঘরে ফেরার আনন্দের মাঝেও বারবার ঋষভের জন্য ডুকরে উঠেছেন দিব্যাংশুর বাবা-মা। এই পরিস্থিতিতেই রবিবার রাতে ঋষভের বাড়িতে গেলেন দিব্যাংশুর বাবা। বেশ কিছুক্ষণ সেখানে থাকেন তিনি। কথা বলেন বন্ধু সন্তোষ সিংয়ের সঙ্গে।
১৪ ফেব্রুয়ারি দুপুরে হুগলির পোলবায় ঘটেছিল ভয়ংকর পুলকার দুর্ঘটনা। নয়ানজুলিতে পুলকার উলটে গুরুতর জখম হয়েছিল ৪ খুদে। তাদের মধ্যে ২ খুদে ঋষভ সিং ও দিব্যাংশু ভকতের অবস্থা ছিল আশঙ্কাজনক। তাদের ফুসফুসে ঢুকে গিয়েছিল কাদাজল। তড়িঘড়ি তাদের ভরতি করা হয়েছিল এসএসকেএমে। সেখানেই চলছিল চিকিৎসা। চিকিৎসকদের আপ্রাণ চেষ্টা ব্যর্থ করে ২২ ফেব্রুয়ারি মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে ঋষভ। জীবনযুদ্ধে সহযোদ্ধা হার মানলেও লড়াই চালিয়ে যায় দিব্যাংশু। ঋষভের মৃত্যুর দিন সন্ধেবেলা থেকে চেতনা ফেরে তার। এরপরই ভেন্টিলেশন থেকে বের করা হয় দিব্যাংশুকে।
এরপর ২৭ তারিখ হাসপাতাল থেকে ছাড়া হয় দিব্যাংশুকে। মনোবিদের পরামর্শ নিয়ে ২৮ তারিখ বাড়িতে যায় ওই খুদে। ছেলেকে বাড়ি নিয়ে গেলেও বারবারই ঋষভের জন্য চোখের জল ফেলতে দেখা গিয়েছে ভকত দম্পতিকে। ছেলের বন্ধুর মৃত্যু কিছুতেই মেনে নিতে পারেননি। আগেও একাধিকবার ঋষভের বাবার সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন তাঁরা। রবিবার রাতে ঋষভের শ্রীরামপুরের বাড়িতে গিয়ে সন্তোষবাবুর সঙ্গে কথা বলেন দিব্যাংশুর বাবা গোপীনাথ ভকত।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.