Advertisement
Advertisement

বিশেষ সক্ষম ভোটারদের জন্য আলাদা ব্যবস্থা কমিশনের, বীরভূম পিছিয়ে থাকায় ক্ষোভ

স্মারকলিপি জমা দিতে গিয়ে পুলিশি বাধার মুখে বিশেষ সক্ষম প্রতিনিধিরা৷

Divyang organisation alleges poll awareness negligence in Birbhum
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:March 19, 2019 2:09 pm
  • Updated:March 19, 2019 2:09 pm  

নন্দন দত্ত, সিউড়ি: এবারের নির্বাচনে বিশেষভাবে সক্ষম ব্যক্তিদের জন্য আলাদা গুরুত্ব দিচ্ছে নির্বাচন কমিশন। সেই মর্মে প্রচারও শুরু হয়েছে৷ অথচ বীরভূমে তাঁদের ভোট প্রক্রিয়া নিয়ে বোঝানোর জন্য কোনও ব্যবস্থা নেই জেলা প্রশাসনের তরফে। এই অভিযোগ জানিয়ে জেলাশাসককে স্মারকলিপি দিয়েছেন রাজ্য প্রতিবন্ধী সম্মিলনীর জেলা সম্পাদক মহম্মদ বদরুদ্দোজা শেখ। তবে স্মারকলিপি প্রদান ঘিরে জেলাশাসকের দপ্তরে কিছুটা উত্তপ্ত পরিস্থিতি তৈরি হয়৷ পুলিশ তাঁদের বাধা দিলে ধস্তাধস্তি বাঁধে৷ জেলাশাসক তথা জেলার মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক মৌমিতা গোদারা জানিয়েছেন, ‘জেলায় বিশেষভাবে সক্ষমদের চিহ্নিতকরণের কাজ চলছে৷ তা চূড়ান্ত হলে আমরা সবাইকে নিয়ে আলাদাভাবে বসব৷ তেমন পরিকল্পনা নিয়ে রেখেছি।’

ডোমকলে খুন শাসকদলের নেতা, অভিযুক্ত কংগ্রেস

এখনও পর্যন্ত সারা জেলায় সাড়ে ২১ হাজার বিশেষ সক্ষম ভোটারকে চিহ্নিত করেছে বীরভূম জেলা প্রশাসন। কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন এবার তাঁদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা করেছে৷  দরকারে তাঁদের বাড়ি থেকে বুথে যেতে সাহায্য করা হবে৷ তাঁদের জন্য বুথে বসার ব্যবস্থা, সিঁড়ি দিয়ে ওঠানামার সুবিধার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সোমবার স্মারকলিপি দিতে এসে বদরুদ্দোজা শেখ অভিযোগ করেন, ‘কেন্দ্র গুরুত্ব দিচ্ছে, অথচ জেলার মূক ও বধির ভোটাররা এখনও জানেন না কীভাবে ভিভিপ্যাট ব্যবহার করবেন৷ কারণ, তাদের সচেতনতা করা হয়নি। মূক ও বধির ভোটারদের যে সাংকেতিক ভাষায় বোঝানো হয়, সেভাবে তাঁদের এখনও বোঝানো হয়নি। তাঁর দাবি, এনিয়ে সাতদিন আগেই তাঁরা জেলাশাসককে বলেছেন। জেলাশাসক মৌমিতা গোদারা জানিয়েছেন, ‘বুথভিত্তিক বিশেষভাবে সক্ষম ভোটারদের চিহ্নিতকরণের কাজ চলছে। সেটা শেষ হলে মূক ও বধির স্কুলের প্রশিক্ষকদের সেখানে পাঠিয়ে ভোটারদের তাঁদের সাংকেতিক ভাষায় সবটা শিখিয়ে দেওয়া হবে।’

Advertisement

ভোটার কি মৃত? তালিকায় নামের পাশে ‘ই’ অক্ষরেই মিলবে উত্তর

তবে শুধু ভোটের দিনের জন্য নয়, সারা দেশের সঙ্গে এরাজ্যে তাঁদের বিশেষ অধিকার আইন বলবৎ করার দাবি জানিয়েছে রাজ্য প্রতিবন্ধী সম্মিলনীর জেলা দপ্তর৷ ৩০ দফা দাবির ভিত্তিতে তাঁরা সোমবার স্মারকলিপি দিয়েছেন জেলাশাসকের কাছে৷ বিশেষভাবে সক্ষম নাগরিকদের জন্য বিশেষ আইন ২০১৬ সালে পাশ করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। তাতে ১০০ দিনের কাজ থেকে সামাজিক অধিকারের কথা বলা হয়েছে। কিন্তু বদরুদ্দোজা শেখের অভিযোগ, সব রাজ্যে সেই অধিকারের জন্য কাজ করলেও এরাজ্যে যথাযথভাবে তা মানা হয় না৷ সোমবার জেলাশাসককে দপ্তরে পুলিশের বাধা নিয়েও তিনি অভিযোগ জানিয়েছেন৷

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement