Advertisement
Advertisement
গঙ্গারামপুর

গঙ্গারামপুরে নিগৃহীতার বাড়িতে আইনি সহায়তা কেন্দ্রের প্রতিনিধিরা, শুরু তদন্ত

সোমবারই জেলা আইনি পরিষেবা সহায়তা কেন্দ্রের কাছে গঙ্গারামপুর কাণ্ডের রিপোর্ট তলব করে কলকাতা হাই কোর্ট।

District legal services authority visits Gangarampur victims house
Published by: Tiyasha Sarkar
  • Posted:February 4, 2020 12:22 pm
  • Updated:February 4, 2020 12:23 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হাই কোর্টের নির্দেশে গঙ্গারামপুরে নিগৃহীতা বিজেপি কর্মীদের বাড়িতে গেলেন জেলা আইনি পরিষেবা সহায়তা কেন্দ্রের প্রতিনিধিরা। স্মৃতিকণাদেবী ও তাঁর দিদির কাছ থেকে বিস্তারিতভাবে ওই দিনের ঘটনা শোনেন তাঁরা। এদিনের তদন্তের ভিত্তিতেই হাই কোর্টে রিপোর্ট পেশ করবেন প্রতিনিধিরা। তার ভিত্তিতেই শুরু হবে তদন্ত। প্রসঙ্গত, ঘটনার পর দুদিন পেরিয়ে গেলেও এখনও অধরা মূল অভিযুক্ত।

ঘটনার সূত্রপাত কয়েকদিন আগেই। কিছুদিন ধরেই গঙ্গারামপুর থানা এলাকার নন্দনপুর থেকে হাপুনিয়া পর্যন্ত রাস্তা তৈরি কাজ চলছিল। অভিযোগ, নন্দনপুরের বাসিন্দা স্মৃতিকণা দাস নামে এক মহিলার জমির উপর দিয়েই চলছিল ২৪ ফুটের রাস্তা তৈরি। তাতে একাধিকবার আপত্তি জানান ওই মহিলা। তিনি বলেন, রাস্তার জন্য তাঁর জমি যেন দখল না করা হয়। তাতে কর্ণপাত করেনি পঞ্চায়েতের আধিকারিকরা। জমি বাঁচাতে বাধ্য হয়ে স্মৃতিকণাদেবী ও তাঁর দিদি ধরনায় বসেন। অভিযোগ, সেই সময়ই স্থানীয় পঞ্চায়েতের উপপ্রধান ও তৃণমূলের কর্মীরা তাঁদের মারধর করে। এরপর পায়ে দড়ি বেঁধে টেনে হিঁচড়ে ঘরে নিয়ে যায়। যার জেরে অসুস্থ হয়ে পড়েন দুই মহিলা। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁদের। ছাড়া পেয়েই উপপ্রধান-সহ ৪ জনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন নির্যাতিতারা।

Advertisement

[আরও পড়ুন: ‘দিলীপের মতোই উন্মাদ মুকুল’, বিজেপি নেতাদের কড়া আক্রমণ জ্যোতিপ্রিয়র]

সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই বর্বতার ছবি ছড়িয়ে পড়তেই প্রতিবাদে সরব হয় সব মহল। দল থেকে সাময়িকভাবে সাসপেন্ড করা হয় উপপ্রধান অমল সরকারকে। গ্রেপ্তার করা হয় ঘটনার দুই অভিযুক্তকে। যদিও এখনও অধরা মূল অভিযুক্ত। পুলিশের তরফে তল্লাশি চালানো হচ্ছে বলে জানানো হলেও স্থানীয়দের অভিযোগ, এলাকা প্রকাশ্যে ঘুরছে উপপ্রধান অমল সরকার। তা সত্ত্বেও গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না তাঁকে। প্রসঙ্গত, গঙ্গারামপুরে দুই মহিলার উপর নৃশংস অত্যাচারের বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পর সোমবারই জেলা আইনি পরিষেবা সহায়তা কেন্দ্রের কাছে ঘটনার রিপোর্ট তলব করেন কলকাতা হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি। সেই নির্দেশের ভিত্তিতেই শুরু হয়েছে তদন্ত।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement