Advertisement
Advertisement

Breaking News

স্বেচ্ছামৃত্যুর আবেদন

‘দিদিকে বলো’তে ফোন করে স্বেচ্ছামৃত্যুর আবেদন, দুঃস্থ পরিবারের পাশে প্রশাসন

মিলেছে চিকিৎসার আশ্বাস।

Distressed family gets help after ‘DidiK Bolo’ call
Published by: Bishakha Pal
  • Posted:August 29, 2019 6:35 pm
  • Updated:August 29, 2019 8:39 pm  

রাজকুমার, আলিপুরদুয়ার: ‘সংবাদ প্রতিদিন ডট ইন’-এর খবরের জের। আলিপুরদুয়ারে মালাকার পরিবারকে সাহায্য করার জন্য এগিয়ে এলেন বেশ কয়েকজন। বুধবার প্রদীপ মালাকারকে আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতালে ভরতি করা হয়। বৃহস্পতিবার প্রদীপ মালাকারকে হাসপাতালে দেখতে যান আলিপুরদুয়ার জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি মৃদুল গোস্বামী। মৃদুলবাবু প্রদীপের চিকিৎসার আশ্বাস দিয়েছেন। এছাড়া বিষয়টি নিয়ে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলারও আশ্বাস দিয়েছেন মৃদুলবাবু।

মৃদুল গোস্বামী ছাড়াও এই পরিবারকে সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন আলিপুরদুয়ার দুই নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি অনুপ দাস। এছাড়া বেশ কয়েকটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার কর্মীরাও প্রদীপ মালাকারের পরিবারকে সাহয্যের আশ্বাস দিয়েছেন। আলিপুরদুয়ার জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি মৃদুল গোস্বামী বলেন, “আমি সংবাদপত্রে এই পরিবারের খবর দেখেছি। আমি হাসপাতালে এসে প্রদীপকে দেখে গেলাম। আমি বিষয়টি নিয়ে উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলব। প্রদীপ যাতে চিকিৎসা পায় তার ব্যবস্থা করছি।”

Advertisement

[ আরও পড়ুন: নিয়মিত চলবে ঘোড়ার গাড়ি, পর্যটকদের টানতে নতুন আকর্ষণ মালদহে ]

উল্লেখ্য ২০১৬ সালে বাইক দুর্ঘটনায় চার সদস্যের মালাকার পরিবারের একমাত্র উপার্জনশীল ব্যক্তি প্রদীপ গুরুতর জখম হন। তারপর তার শরীরে তিনটি জটিল অপারেশন হয়। সুস্থ হয়ে উঠছিল প্রদীপ। কিন্তু টাকার অভাবে নিয়মিত চিকিৎসা করাতে পারছিল না প্রদীপের পরিবার। নিজের বসতবাড়ির একটি অংশ, স্ত্রীর সোনার গহনা-সহ সব বিক্রি করে নিঃস্ব হয়ে গেছে এই পরিবার বলেও দিদিকে বলো ফোন নম্বরে ফোন করে জানিয়েছিলেন প্রদীপের স্ত্রী সুস্মিতা মালাকার। ‘দিদিকে বলো’তে ফোন নম্বরে নিজের জন্য একটি কাজ না হলে স্বেচ্ছামৃত্যুর আবেদন জানিয়েছিলেন সুস্মিতা। সেই খবর ‘সংবাদ প্রতিদিন ডট ইন’-এ বের হয়। তার পরেই বিভিন্ন মহলে হইচই পড়ে যায়। অবশেষে বিভিন্ন মহল সাহায্য করার জন্য এগিয়ে এসেছে।

বুধবার প্রদীপের শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতালে ভরতি করে তার পরিবার। প্রদীপের স্ত্রী সুস্মিতা মালাকার বলেন, “ধন্যবাদ সংবাদ প্রতিদিনকে। আমাদের দুর্দশার খবর প্রকাশের পর থেকেই অনেকে সাহায্যের জন্য এগিয়ে এসেছে। এখন মনে হচ্ছে আমরা একা নই। তৃণমূলের জেলা সভাপতি হাসপাতালে এসে আমাদের সঙ্গে দেখা করেছেন। আলিপুরদুয়ার ২ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি অনুপ দাস কাজের ব্যাবস্থা করার আশ্বাস দিয়েছেন। স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার কর্মীরাও আমাদের বাড়িতে এসেছেন। খোঁজ নিয়ে সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন।”

[ আরও পড়ুন: ঝাড়ফুঁকের নামে পোড়ানো হল শরীর, পরিবারের কুশিক্ষার শিকার খুদে পড়ুয়া ]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement