সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অতি গভীর নিম্নচাপ রয়েছে দক্ষিণবঙ্গের উপর। মূলত পশ্চিম দক্ষিণবঙ্গের উপরেই তার অবস্থায়। তার জেরে গোটা পশ্চিমবঙ্গে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে। বর্ধমান থেকে হলদিয়া, বাঁকুড়া থেকে ঝাড়গ্রাম-সহ তমলুক বিভিন্ন এলাকা জলমগ্ন। দুর্যোগে দুর্ভোগ বাড়ছে স্থানীয়দের। সঙ্গে অনেক এলাকায় ডুবে গিয়েছে চাষের জমি। গাছ পড়ে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে রাস্তা। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বহু বাড়ি।
অতিবৃষ্টি এবং ঝড়ের দাপটে বিপর্যস্ত হলদিয়ার বেশ কিছু এলাকা । কাঁথি ,এগরা,তমলুক ,পাঁশকুড়া, কোলাঘাট এলাকায় বিভিন্ন জায়গায় জমা জলের কারণে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় । রাস্তায় গাছ পড়ে চলাচলের সমস্যা সৃষ্টি করে । ঝড়ের দাপটে পড়ে যায় বিদ্যুতের খুঁটি । বিস্তীর্ণ অঞ্চল বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে অন্ধকারে ডুবে থাকে। উড়ে যায় বেশ কিছু বাড়ির চালও।
এদিকে কুলটিতে লাগাতার বৃষ্টির জেরে জলমগ্ন বিস্তৃণএলাকা। বাড়িতে জল ঢুকে বাস করা দুস্কর হয়ে উঠেছে বলে অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের।
এদিকে, দুই দিন ধরে লাগাতার বৃষ্টি হচ্ছে হয়ে চলেছে ঝাড়গ্রাম জেলাজুড়ে। ফলে অনেক মাটির বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ডুলুং নদীর জল সীমা ছাড়িয়ে বইছে। ফলে ঝাড়গ্রাম জেলা শহরের সঙ্গে যোগাযোগ বিছিন্ন জামবনির।
কোথায় আবার জলে আটকে গিয়েছে লরি।
তমলুকের অনেক জায়গায় চাষের জমি জলের তলায়।
শিলাবতী নদীর সিমলাপাল নদী ঘাটের কজওয়ের উপর দিয়ে জল বইতে থাকায় বাঁকুড়া – ঝাড়গ্রাম ৯ নম্বর রাজ্য সড়কে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছে। এই নদীর (শিলাবতী) উপর লক্ষ্মীসাগর – বিবড়দা রাস্তায় পাথরডাঙা কজওয়ে জলমগ্ন হওয়ায় লক্ষ্মীসাগর বাঁকুড়া রাস্তায় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছে।
তবে খুশির খবর শুনিয়েছে হাওয়া অফিস, আগামী ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টায় শক্তি হারিয়ে দুর্বল হয়ে পশ্চিমবঙ্গ থেকে ঝাড়খণ্ডের দিকে সরে যাবে নিম্নচাপটি। ভারী বৃষ্টির আশঙ্কা নেই। ধীরে ধীরে আবহাওয়ার উন্নতি হবে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.