সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দেশবাসীকে আধারের মোড়কে আনতে চাইছে কেন্দ্র। অভিযোগ, পরিকাঠামো ছাড়াই এমন কাজ করতে গিয়ে সাধারণ মানুষ দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন। এই অভিযোগ যে অসাড় নয়, তা বুঝিয়ে দিল কলকাতা হাই কোর্ট। সেরিব্রাল পলসিতে আক্রান্ত এক যুবক একাধিকবার চেষ্টা করেও আধার কার্ড করাতে পারেননি। এই বিষয়ে সাধারণ মানুষ কেন আদালতের দ্বারস্থ হবেন তা নিয়ে কেন্দ্রের জবাবদিহি চেয়েছে হাই কোর্ট।
[বাতিলেই ভর্তি ঘর, নয়া নোট ছাপানো বন্ধ করল RBI]
প্রতিবন্ধী ওই যুবকের এমন দুর্ভোগে কেন্দ্রের ভূমিকায় রীতিমতো ক্ষোভ প্রকাশ করেন বিচারপতি দেবাংশু বসাক। তাঁর পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র সরকার আধারকে বাধ্যতামূলক করতে চাইছে। কিন্তু আধার কার্ড বানানোর ঠিকমতো ব্যবস্থা নেই। তার জন্য ৮৩ শতাংশ শারীরিকভাবে এক অক্ষম ব্যক্তিকে আদালতে আসতে হচ্ছে। কেন্দ্রের দেখানো স্বপ্নের এটা পরিপূরক হতে পারে না। একজন নাগরিককে যদি এই বিষয়ে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হতে হয়, তাহলে সেটা কেন্দ্রের কাছে অস্বস্তির বিষয়। আধার করা নিয়ে হাই কোর্টকে কেন হস্তক্ষেপ করতে হবে তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বিচারপতি দেবাংশু বসাক। শারীরিক প্রতিবন্ধী ওই যুবকের নাম সৈকত মিত্র। তাঁর বাড়ি জোকায়। সৈকতের মা নূপুর মৈত্র জানান, সেরিব্রাল পলসিতে ছেলে আক্রান্ত। ঠিকমতো উঠে দাঁড়াতে পারেন না। হুইল চেয়ারেই কাটে তাঁর জীবন। ছেলের আধার কার্ডের জন্য নূপুরদেবী জোকায় কর্পোরেশন অফিসে গিয়েছেন। তাঁর অভিযোগ এই নিয়ে কোনওরকম সহযোগিতা মেলেনি। পাঁচবার আধার ক্যাম্পে গিয়েও তিনি ছেলের জন্য এনরোলমেন্ট করাতে পারেননি। শেষপর্যন্ত আদালতের দ্বারস্থ হন সৈকতের বাবা সনৎ মৈত্র।
[চোর কে? জানতে কর্মীদের ‘অগ্নিপরীক্ষা’ নিলেন বিজেপি নেতা!]
আদালত এদিন জানায় ওই ব্যক্তির চোখের মণির সমস্যা। তার বায়োমেট্রিক ব্যবস্থা করতে হলে কর্তৃপক্ষর উচিত তাঁর বাড়িতে যাওয়া। বিষয়টি তাদের জানানোর পরও সংশ্লিষ্ট সংস্থা কেন ওই ব্যক্তির বাড়িতে আধার কার্ড করাতে যায়নি তা নিয়ে আদালত প্রশ্ন তোলে। এই নিয়ে কেন্দ্র সরকার কী ভাবছে তা ১৩ নভেম্বরের মধ্যে জানাতে হবে। ওই দিন হবে এই মামলার শুনানি। বিচারপতি এদিন বুঝিয়ে দেন যেখানে ডিজিটাল লেনদেন, ক্যাশলেসের কথা বলা হচ্ছে সেখানে এক প্রতিবন্ধী যুবকের সঙ্গে এমন আচরণ বেমানান।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.