বাবুল হক, মালদহ: গত ১০বছরে এ রাজ্যে তৃণমূল সরকারের কাজের ‘রিপোর্ট কার্ডে’র পালটায় সোমবারই ‘তৃণমূল ফেল কার্ড’ নামে বুকলেট প্রকাশ করেছে বিজেপি (BJP)। আর মঙ্গলবার সেই বুকলেটের পরিসংখ্যান হাতে নিয়ে সরকার বিরোধী প্রচারে নতুন করে ঝাঁপিয়ে পড়লেন দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। মালদহের চা- চক্র থেকে তাঁর তোপ, “তৃণমূলের আমলে এ রাজ্যে কোনও চাকরি হয়নি। চাকরি হয়েছে গুজরাট, হরিয়ানায়।”
একুশে বিধানসভা নির্বাচনের আগে রাজ্যের রাজনৈতিক আবহাওয়া ক্রমশই তেতে উঠছে। তাতে এবার নতুন সংযোজন, সরকারের সাফল্যের তুল্যমূল্য বিচারে বিরোধীদের ঝাঁপিয়ে পড়া। সোমবার বিজেপির তরফে তথ্য-পরিসংখ্যান দিয়ে তৃণমূলের ব্যর্থতার খতিয়ানে নতুন করে চাঙ্গা গেরুয়া শিবির। এরপর মঙ্গলবার সকালে মালদহের (Maldah) সিঙ্গাতলায় চা-চক্র থেকে দিলীপ ঘোষ ‘এগিয়ে বাংলা’ প্রকল্প নিয়ে বিঁধলেন মমতা সরকারকে। তাঁর কথায়, “রাজ্যে আইনশৃঙ্খলার অবনতিতে ‘এগিয়ে বাংলা’, মহিলাদের উপর নির্যাতনে ‘এগিয়ে বাংলা’, বেকারত্ব বৃদ্ধি, পরিযায়ী শ্রমিক – সবেতে ‘এগিয়ে বাংলা’।”
রাজ্য বিজেপি সভাপতির আরও দাবি, “এই যে বলা হচ্ছে রাজ্যে প্রচুর চাকরি হয়েছে, পাড়ায় পাড়ায় খোঁজ নিয়ে দেখুন না, একজনও চাকরি পায়নি। হ্যাঁ, চাকরি যদি কেউ কোথাও পেয়ে থাকে, তাহলে সেটা গুজরাটে পেয়েছে, হরিয়ানায় পেয়েছে।” অর্থাৎ, কর্মসংস্থান ইস্য়ুতে তিনি এগিয়ে রাখলেন সমস্ত বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলোকে। যদিও এর আগেও তিনি দাবি তুলেছিলেন, বাংলায় কাজের পরিস্থিতি এতটাই বেহাল যে যুবকদের বাইরে যেতে হচ্ছে চাকরির সন্ধানে। এদিনও সেই বক্তব্য়ের পুনরাবৃত্তি করলেন বিজেপি রাজ্য় সভাপতি।
এছাড়া এদিনের সাংবাদিক সম্মেলন থেকে সীমান্ত সুরক্ষা, রাজ্যের জঙ্গিডেরা নিয়েও সরব হলেন দিলীপ ঘোষ। বীরভূমের পাইকর থেকে এক জেএমবি জঙ্গির গ্রেপ্তারি নিয়ে তাঁর প্রতিক্রিয়া, ”এই রাজ্য দুষ্কৃতীদের আশ্রয়স্থল। জেএমবি, রোহিঙ্গাদের জন্য সীমান্ত উন্মুক্ত করে রাখার পক্ষে। তাই কাঁটাতার দিয়ে ঘিরতে চায় না। সিপিএমের আমলেও এরকম হতো, তৃণমূলের সময়ও চলছে।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.