দেবব্রত মণ্ডল, বারুইপুর: ‘রাস্তায় পোস্টার-ব্যানার লাগালেই বাংলার গর্ব হওয়া যায় না। বাংলার গর্ব কে সেটা বাংলার মানুষই ঠিক করবেন। তার জন্য রাস্তায় পোস্টার ব্যানার মারার দরকার নেই। উনি বাংলার জন্য এমন কি কাজ করেছেন যার জন্য মানুষ গর্ববোধ করতে পারে।’ বারুইপুরে দলীয় কর্মীদের প্রশিক্ষণ শিবিরে যোগদানের পূর্বে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে একথা বলেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারুইপুর জেলা পূর্ব পার্টি অফিসে কার্যকর্তাদের প্রশিক্ষণ শিবিরে আসেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। সেখানে বিভিন্ন মণ্ডল থেকে আসা কর্মীদের এক প্রশিক্ষণ শিবির আয়োজন করা হয়। কয়েকশো কর্মী এই প্রশিক্ষণ শিবিরে উপস্থিত ছিলেন। তাছাড়াও বিভিন্ন দল থেকে কয়েক হাজার কর্মী-সমর্থক এদিন বিজেপিতে যোগ দেন। দিলীপ ঘোষের কাছ থেকে তারা পতাকা গ্রহণ করেন। এই প্রশিক্ষণ শিবিরে দিলীপবাবু বলেন, ‘প্রতিটি পার্টির নিজস্ব আদর্শ আছে। সংবিধান আছে। তাই প্রতিটি কার্যকর্তার থেকে তা শিখতে হবে। নতুন যারা দলে যোগদান করছেন তাদেরকেও পার্টির সংবিধান রপ্ত করতে হবে। আর তাই এই প্রশিক্ষণ শিবির। এই প্রশিক্ষণ শিবিরে শুধু প্রশিক্ষণ নয় বিভিন্ন রাজনৈতিক ইস্যু নিয়েও আলোচনা হবে।’
রাজ্যজুড়ে শনিবার থেকে যে ‘বাংলার গর্ব মমতা’ কর্মসূচি শুরু করেছে তৃণমূল কংগ্রেস সেই প্রসঙ্গে সমালোচনা করেন দিলীপবাবু। রবীন্দ্রভারতীতে বসন্তোৎসবে যেভাবে অশ্লীল শব্দ ব্যবহার করা হয় তারও সমালোচনা করেন তিনি। এদিন সাংবাদিকদের সেই প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘বাংলার সংস্কৃতি এখন ভুল পথে পরিচালিত হচ্ছে। বিশ্বভারতী এবং রবীন্দ্রভারতীতে যা হচ্ছে তা বাংলার সংস্কৃতির পরিপন্থী। ভবিষ্যৎ প্রজন্ম যদি এগুলি করে থাকে তা সত্যিই চিন্তার বিষয়। যারা এখন এইগুলো নিয়ে হইচই করছে তারাই একসময় রাজ্যের এই বেলেল্লাপনাকে এবং অশ্লীলতাকে সমর্থন করেছেন। শাসকদল তার জন্য দায়ী। সমাজের সবার দায়িত্ব আছে এই বিষয়ে সচেতনতা হওয়ার।’
করোনা ভাইরাস আতঙ্ক নিয়ে রাজ্য স্বাস্থ্যদপ্তরকে খোঁচা দিতে ছাড়েননি দিলীপবাবু। তিনি বলেন, ‘রাজ্যের হাসপাতালে যেখানে জ্বর-মাথাব্যাথার ওষুধ পাওয়া যায় না সেখানে করোনা ভাইরাস আটকাবে কী করে? ডেঙ্গু হলে চিকিৎসকদের প্রেসক্রিপশনে ডেঙ্গু লেখা যায় না। কোন চিকিৎসক যদি প্রেসক্রিপশনে ডেঙ্গু লেখেন তাহলে তাকে সাসপেন্ড করা হয় চাকরি থেকে। আর তাই রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার যেখানে এই অবস্থা সেখানে করোনা ভাইরাস আটকানোর সম্ভাবনা কম। পুণের মতো কলকাতাতে একটি পরীক্ষাকেন্দ্র তৈরি করলে রাজ্যের মানুষ উপকৃত হতেন। তবে সবক্ষেত্রেই রাজনীতি করা হয়। এতে সাধারণ মানুষের বিপদে পড়েন সাধারণ মানুষের ক্ষতি হয়।’
প্রধানমন্ত্রী করোনা ভাইরাসের কারণে হোলি খেলা থেকে বিরত থাকলেও দিলীপবাবু আপাতত হোলি খেলা থেকে বিরত থাকছেন না। তিনি বলেন, দোল রঙের উৎসব। দোলের মাধ্যমে প্রচুর মানুষকে জনসংযোগ করা যায়। এদিন এই অনুষ্ঠানে দিলীপবাবু ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন রাজ্য জেলা স্তরের বিভিন্ন নেতৃত্ব।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.