সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মোদি-বিরোধী আন্দোলনের বড় মুখ তাঁরা। গত লোকসভা নির্বাচনেও বিরোধী মঞ্চে একসঙ্গে দেখা গিয়েছে বহুবার। কিন্তু তৃতীয়বার দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর পদে শপথগ্রহণের অনুষ্ঠানে কাছের মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ডাকেননি অরবিন্দ কেজরিওয়াল। তাই নিয়েই মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ করতে ছাড়লেন না বঙ্গ বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ। বললেন, ‘দিদির কথা মনে পড়ল না ভাইয়ের। এবার দিদিমণি কত চোখের জল ফেলবেন!’
বস্তুত, রবিবার দিল্লির রামলীলা ময়দানে শপথ নেন কেজরিওয়াল। সমাজের আম আদমিরাই মুখ্য অতিথি ছিলেন এদিন শপথ মঞ্চে। সেইসঙ্গে দিল্লিকেন্দ্রিক এই অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন কেজরিওয়াল। তবে বিরোধীদের ট্রেন্ড অনুযায়ী, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, রাহুল গান্ধী-সহ অন্যান্য মোদি-বিরোধী নেতা-নেত্রীদের ডাকেননি কেজরি। যা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে জল্পনা তুঙ্গে। তবে কি মমতার সঙ্গে দূরত্ব বাড়ছে কেজরিওয়ালের? ঝাড়খণ্ডের নির্বাচনের পরেও মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথগ্রহণের অনুষ্ঠানে হেমন্ত সোরেনের ডাকে বিরোধীরা মঞ্চ আলো করেছিলেন। দুমাসের মধ্যে এমন কী হল যে, সহযোদ্ধাদের ভুলেই গেলেন কেজরিওয়াল।
সেই নিয়ে রবিবার মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ করেছেন দিলীপ ঘোষ। ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর উদ্বোধনে ডাক না পাওয়ায় রুষ্ট হয়েছিলেন মমতা। অনুষ্ঠান বয়কট করে রাজ্যের প্রতিনিধিরা। সেই প্রসঙ্গ টেনে দিলীপের খোঁচা, ‘সেদিন তো খুব চোখের জল ফেলেছিলেন। আজ তো ভাইয়ের মনে পড়ল না দিদিকে। দিদিমণি কত চোখের জল ফেলবেন এবার? ওনার সঙ্গে এখন কেউ নেই। তাই কেউ ডাকছে না।’ উল্লেখ্য, এদিন মোদিকে আমন্ত্রণ করা হলেও শপথের মঞ্চে তাঁর নামাঙ্কিত চেয়ার ফাঁকাই ছিল। তিনি বারাণসীতে সরকারি অনুষ্ঠানে ব্যস্ত ছিলেন বলে আসতে পারেননি সেকথা মঞ্চেই ঘোষণা করেন কেজরিওয়াল। কিন্তু খোঁচা দিয়েই তিনি বলেন, ‘মোদিজি ও কেন্দ্রের আশীর্বাদ নিয়েই কাজ করতে চাই।’
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.