সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ২০১৯-এ বাংলার প্রায় প্রতিকূল মাটিতেও পদ্ম ফুটিয়েছিলেন। ১৮টি সিট পেয়ে বাংলার রাজনৈতিক মানচিত্রে বিজেপিকে তীব্র ভাবে প্রাসঙ্গিক করে তুলেছিলেন। অথচ চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনে ভরাডুবি। নিজেও জিততে পারেননি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। লোকসভা নির্বাচন এবং উপনির্বাচনে বঙ্গ বিজেপির সামগ্রিক ফলাফল মোটেও ভালো নয়। সবুজ ঝড়ে কার্যত ধুয়ে মুছে সাফ গেরুয়া শিবির। তলানিতে পদ্ম শিবিরের কর্মীদের আত্মবিশ্বাস। এই পরিস্থিতিতে ভোটে ভরাডুবির কারণ ব্যাখ্যা করলেন দিলীপ ঘোষ। আর তাঁর মন্তব্য নিয়ে বিজেপির অন্দরেই চলছে জোর চর্চা। পালটা প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।
বাঁকুড়ায় দলীয় বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন দিলীপ ঘোষ। এবারের ভোটের ফলাফল কেন এত খাারাপ হল, সেই ব্যাখ্যা করেন রাজ্য বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি। তিনি বলেন, “গতবার আমাদের লড়াইয়ের কারণেই আমরা ৭৭-এ পৌঁছেছিলাম। ভেবেছিলাম এবার আরও বেশি হবে। কিন্তু হয়নি। তার মানে কোথাও ফাঁক আছে। আমাদের অভিজ্ঞতা কম আছে। আমরা সংগঠন জানি, আন্দোলন জানি, ভোট করাতে জানি না। ভোট কীভাবে করাতে হয় তা শিখতে হবে।” তিনি আরও বলেন, “প্রত্যেক নির্বাচন থেকে সঞ্চিত অভিজ্ঞতা আমাদের পরবর্তী নির্বাচনে কাজে লাগাতে হবে।” দলীয় নেতা-কর্মীদের সংগঠনে আরও মন দেওয়ার কথাও বলেন দিলীপ। তাঁর কথায়, “পার্টিতে এসে গিয়েছি। পদ পেয়ে গিয়েছি। আসছি, যাচ্ছি, খাচ্ছি করলে হবে না। বিজেপি করলে এরকম চলবে না। এখানে প্রত্যেককে সমানভাবে সংগঠনে মন দিতে হবে।”
দিলীপ ঘোষের এই মন্তব্য নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই জোর চর্চা। বিপর্যয়ের কারণ হিসাবে বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতির ব্যাখ্যা নিয়ে দলের অন্দরে শুরু হয়েছে কানাঘুষো। দলের রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার কার্যত দিলীপের মন্তব্যের বিরোধিতাই করেছেন। তিনি বলেন, “বিজেপি নতুন পার্টি। নতুন পার্টি বলতে, আমরা ২০১৭, ২০১৮ সাল থেকে পশ্চিমবঙ্গে লড়াইয়ে আসতে শুরু করেছি। স্বাভাবিকভাবেই মানুষের শিখতে সময় লাগে। মায়ের পেট থেকে তো কেউ সব শিখে আসে না। আমরা সময়ের সাথে সাথে অনেক কিছু শিখছি।”রাজনৈতিক ওয়াকিবহালের মতে, বঙ্গ বিজেপিতে দলীয় অন্তর্কলহ যে তুঙ্গে তা দিলীপের বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে সুকান্তর কথাতেই আরও একবার স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.