চন্দ্রশেখর চট্টোপাধ্যায়, আসানসোল: CAA’র সমর্থনে আসানসোলে বিজেপির মিছিল ঘিরে উত্তেজনা তুঙ্গে। মিছিলের অনুমতি আগেই প্রত্যাহার করে নিয়েছিল দুর্গাপুর-আসানসোল পুলিশ। নির্দিষ্ট এলাকায় ১৪৪ ধারাও জারি করা হয়। শুক্রবার অনুমতির তোয়াক্কা না করেই অন্য এলাকা থেকে মিছিল করে বিজেপি নেতৃত্ব। তবে কিছুটা এগোতেই পুলিশ মিছিল আটকে দিলে তাঁরা সেখানেই বসে পড়েন। সেখানে দ্ব্যর্থহীন ভাষায় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানান বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ করে তাঁর দাবি, “উনি তো শাড়ি পরা হিটলার।” এদিন গেরুয়া শিবিরের কর্মসূচি ঘিরে অশান্তি আটকাতে সকাল থেকেই বিশাল পুলিশবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছিল।
শুক্রবারের মিছিলে যোগ দিতে এসেছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়। কিন্তু মিছিলে পুলিশি অনুমতি না থাকায় তিনি ফিরে যান। এ প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, “পুলিশ মিছিলের অনুমতি দেয়নি। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হিসাবে আইন ভাঙতে পারি না।” দুপুরে দু’নম্বর জাতীয় সড়কের কালিপাহাড়ি মোড় থেকে রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের নেতৃত্বে মিছিল শুরু হয়। অন্যরুট দিয়ে মিছিল এগোতে থাকে। কিন্তু পুলিশি বাধায় ঊষাগ্রাম মোড়ে মিছিল আটকে যায়। সেখানেই বক্তব্য রাখেন তিনি।
রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে ‘দেশদ্রোহী’ বলে তোপ দাগেন দিলীপ ঘোষ। তাঁর অভিযোগ, “রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী আদপে দেশদ্রোহী। তিনি অপরাধীদের বাঁচাতে রাস্তায় নামতে পারেন। কিন্তু শরনার্থীদের জন্য একবারও আন্দোলনের সময় হয় না তাঁর।” CAA প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষের প্রতিক্রিয়া, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তো অনেক কিছুই মানেন না। তা বলে কি কিছু আটকেছে? নাগরিকত্ব (সংশোধিত) আইন ইতিমধ্যে কার্যকর হয়ে গিয়েছে।” একই সঙ্গে তাঁর দাবি, “মুখ্যমন্ত্রী ইতিহাস বিকৃত করেছেন। ১৯০৫ সালে বঙ্গভঙ্গ হয়েছিল। আর মুখ্যমন্ত্রী বলছেন, ২০০৩ সালে বঙ্গভঙ্গ হয়েছে। উনি তো আসলে শাড়ি পরা হিটলার। স্বৈরাচারী।” পাশাপাশি বিজেপির রাজ্য সভাপতির অভিযোগ, “মুখ্যমন্ত্রী অনুপ্রবেশকারীদের জন্য লড়াই করছেন। কারণ, ওরাই তো তৃণমূলের ভোটব্যাংক।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.