অর্ক দে, বর্ধমান: ‘গুন্ডা’ দিলীপ ঘোষের গান্ধীগিরি! বর্ধমানের তালিত এলাকা সাক্ষী থাকল অন্য় এক ছবির। গাড়ি থেকে নেমে তৃণমূল কর্মীদের জড়িয়ে ধরলেন বর্ধমান দুর্গাপুরের বিজেপি প্রার্থী। এ যেন এক অন্য দিলীপ!
বর্ধমান-দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী দিলীপ। বৃহস্পতিবার তিনি ভাতার বিধানসভায় যাচ্ছিলেন দলের কাজে। তালিতের কাছে শরবত বিলির অনুষ্ঠান ছিল তৃণমূলের। সেখান থেকেই যাচ্ছিল দিলীপের গাড়ি। সূত্রের খবর, তাঁর গাড়ি থামায় তৃণমূল কর্মীরা। হাসি মুখে তিনি গাড়ি থেকে নেমে সেই অনুষ্ঠানে ঢোকেন। মাইক হাতে নিয়ে বক্তব্যও রাখেন। সকলকে সুস্থ থাকার পরামর্শ দিয়ে সেখান থেকে বেরিয়ে আসেন।
বেরনোর সময় দিলীপের সামনেই ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জিন্দাবাদ’ স্লোগান দিতে শুরু করেন বর্ধমান ব্লক সভাপতি কাকলি গুপ্ত তা, ব্লকের যুব সভাপতি মানস ভট্টাচার্যরা। তবু মেজাজ হারানো বা গরম-গরম সংলাপ দেওয়া তো দূরে থাক, তৃণমূল কর্মীদের জড়িয়ে ধরে, শুভেচ্ছা জানিয়ে সেখান থেকে হাসিমুখে বিদায় নেন তিনি। রীতিমতো দিলীপের সঙ্গে সেলফি তোলার হিড়িক পড়ে যায় শিবিরে। সকলের সঙ্গে ছবিও তোলেন তিনি।
সাধারণত দিলীপ ঘোষকে ‘গরম মেজাজে’ দেখতে অভ্যস্ত সকলে। কখনও তিনি নিজেকে গুন্ডা বলেছেন, কখনও তৃণমূলকে ঠান্ডা করে দেওয়ার দাওয়াই দেন। কিন্তু এদিন সেই গুন্ডা দিলীপ কার্যত ‘গান্ধীগিরি’ করেন তৃণমূলের শিবিরে। যা দেখে হতবাক রাজনৈতিক মহল।
এ প্রসঙ্গে কটাক্ষ করে তৃণমূল নেতা তথা অবিভক্ত বর্ধমান জেলা তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতি তথা জেলা পরিষদের দুই বারের সদস্য নুরুল হাসান বলেন, “কাকলি গুপ্তদের বিজেপির নেতাদের সঙ্গে ভালোই সম্পর্ক, বিজেপি নেতাদের সঙ্গে ওদের যে যোগাযোগ বহুদিনের এটা প্রমাণ। তার পর শুভেন্দু অধিকারী ওর বাবার মূর্তি করার জন্য এক লক্ষ টাকা দিয়ে গেছিল সেটাও ভুলতে পারছে না। দিলীপ ঘোষের সঙ্গে ছবি তোলার বহর দেখে মনে হচ্ছে, ওকে আগেই নেমন্তন্ন করেছিলে। বিজেপি যাওয়ার রাস্তা পরিষ্কার করে রাখল।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.