সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রতিবছর নিয়ম মেনে দলের মহিলা সদস্যদের কাছে ভাইফোঁটা নিতে দেখা যেত প্রাক্তন সাংসদ দিলীপ ঘোষকে। কিন্তু এবছর ছবিটা একেবারে অন্য। ভাইফোঁটায় ঘরের বাইরেই দেখা গেল না দাপুটে এই বিজেপি নেতাকে। কিন্তু কেন? দিলীপ ঘোষের কথায়, “বাংলার যা পরিস্থিতি তাতে কোনও বোনকে রক্ষার প্রতিশ্রুতি দিতে পারব না। তাই ফোঁটা নিতে বের হইনি।”
আর জি কর কাণ্ড নিয়ে উত্তাল বাংলা। সুবিচার চেয়ে সকলেই পথে নেমেছেন। ভাইফোঁটায় সকল বোনেরা ভাই-দাদাদের কাছে একটাই উপহার চেয়েছেন, তা নিরাপত্তা। দিলীপ ঘোষের কথাতেও উঠে এল সেই নিরাপত্তা প্রসঙ্গই। প্রতিবছর ভাইফোঁটায় রাজ্য বিজেপির দপ্তরে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সেখানে দলের মহিলা নেত্রীদের থেকে ফোঁটা নিতেন দিলীপ ঘোষ। কিন্তু এবছর ফোঁটায় দেখা গেল না তাঁকে। কার্যত নিজেকে বন্দি করেই রাখলেন। বিজেপির দপ্তর তো দূর-অস্ত, এলাকাতেও দেখা গেল না দিলীপ ঘোষকে।
কিন্তু কেন? পদে না থাকার কারণেই কি এই পরিবর্তন? আসল কারণ জানালেন দিলীপ নিজেই। প্রাক্তন সাংসদের কথায়, “ফোঁটা মানে তো শুধু উৎসব নয়। একটা প্রতিশ্রুতি। দিদি বা বোনেরা যেমন ভাইয়ের মঙ্গলকামনা করেন, তেমন দাদা বা ভাইকেও প্রতিশ্রুতি দিতে হয়। দিদি ও বোনেদের রক্ষা করার প্রতিশ্রুতি। কিন্তু বাংলার যা অবস্থা, একজন দাদা বা ভাই হয়ে কোনও প্রতিশ্রুতি দিতে পারব না। তাই বাড়ি থেকে বেরই হইনি।” দিলীপ ঘোষের মন্তব্যকে সমর্থন করেছেন বিজেপি নেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায়ও। তবে এই ইস্যুতেও দিলীপকে বিঁধেছে তৃণমূল। এক তৃণমূল নেতার কথায়, “দিলীপ ঘোষের উচিত যোগী আদিত্যনাথ, নরেন্দ্র মোদি, অমিত শাহদেরও ভাইফোঁটা বয়কট করতে বলা। কারণ, বিজেপি শাসিত রাজ্যে মহিলাদের সুরক্ষা সবচেয়ে কম।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.