সুরজিৎ দেব, ডায়মন্ড হারবার: মগরাহাটের সভা থেকে ফের মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা করলেন দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। বললেন, “বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে মুসলিমদের ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। দিদি এখানে বলছেন আমরা নাকি জাতপাতের রাজনীতি করি। জাতপাতের রাজনীতি উনি করেন। মুসলিমদের মানুষের থেকে আলাদা করে রেখেছেন। তাঁদের শুধু ভোটার করেই রেখেছেন। উন্নয়ন করেননি।” পাশাপাশি, আত্মবিশ্বাসী কন্ঠে বললেন একুশে বিজেপি ক্ষমতায় আসবেই।
বৃহস্পতিবার দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার সংখ্যালঘু প্রভাবিত মগরাহাট পূর্ব বিধানসভা কেন্দ্রের ধামুয়ায় সভা করেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ। সেখান থেকে মুখ্যমন্ত্রীর পাশাপাশি কংগ্রেস ও বামেদেরও আক্রমণ করেন তিনি। প্রশ্ন করেন, কোন সরকার মুসলিম সমাজের জন্য কী করেছে? বলেন, “সবাই আপনাদের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে। আপনাদের ভুল বুঝিয়েছে এরাজ্যের সব সরকারই। মুসলিমদের মধ্যে অপরাধ প্রবণতা বেশি, কারণ চাকরি নেই, কাজ নেই। তাই তাঁরা অপরাধমূলক কাজ করতে বাধ্য হয়। আমাদের একবার সুযোগ দিয়ে দেখুন। ভারতবর্ষের মতো দেশে একজন হিন্দুর যা অধিকার ঠিক সমান অধিকার একজন মুসলিমেরও তা আছে। বিজেপি সেটাই বিশ্বাস করে।” সংখ্যালঘু প্রভাবিত এলাকায় ভোট টানতে তিনি আরও বলেন, “ভয় দেখিয়ে সংখ্যালঘুদের বিজেপির থেকে আলাদা করে রাখার চেষ্টা হয়েছে এতদিন। আপনারা শুনে রাখুন, বিজেপি এরাজ্যে ক্ষমতায় এলে দাঙ্গা বন্ধ হবে, সকলে কাজ পাবে, আইনের সুশাসন লাগু হবে রাজ্যে। যদি আপনাদের কেউ ভুল বোঝায় তাঁকে বলুন, “বিজেপি শাসিত অন্য রাজ্যে তো মুসলিমরা চাকরি করছে, কাজ করছে, সেখানে তাঁদের গায়ে হাত পড়ছে না।”
আব্বাস সিদ্দিকীর নতুন দল প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন, “পশ্চিমবঙ্গে আব্বাস সিদ্দিকী, ওয়েসি আলাদা দল গড়ছেন। তা দেখে দিদির হার্টবিট বেড়ে গিয়েছে। কেন তাদের কি কোনও অধিকার নেই? মুসলিম ভোট কি দিদির জমিদারি নাকি?” বিজেপির রাজ্য সভাপতি আরও বলেন, “এবার আর পঞ্চায়েতের মতো ভোট হবে না। যারা ঝামেলা করেছিল তাঁদের বলে দিন বুথের ধারে কাছে গেলে পিঠের হাড় ভাঙা হবে।” জেপি নাড্ডার কনভয়ে হামলার প্রসঙ্গে হুঙ্কার দিয়ে দিলীপ বলেন, “আমাদের সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার গাড়িতে যারা হামলা করেছে তাঁদের বলে দিন, যদি বাড়ির ভাত খেতে চায় তবে যেন ভদ্রলোক হয়ে যায়।” রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় প্রসঙ্গে মন্তব্য করতে গিয়ে দিলীপ বলেন, “আয়লার পর সুন্দরবনের বাঁধ দেখতে গিয়েছিলেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি চেয়েছিলেন, বাঁধ হোক, মানুষ বাঁচুক। তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হল। কারণ, উনি থাকলে নাকি কাটমানি খাওয়া যাচ্ছিল না। তিনি খেপে গিয়েছেন অত্যাচারের কারণে। তৃণমূলের এমপি, এমএলএ, মন্ত্রী সবাই তৃণমূল ছেড়ে পালিয়ে আসছে অত্যাচারের কারণে।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.