রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায় ও নন্দন দত্ত: মল্লারপুর থানার লকআপে নাবালকের মৃত্যু প্রসঙ্গে এবার পুলিশকে তোপ দাগলেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। ক্ষোভের সুরে বললেন, “পুলিশ রাজনৈতিক রং দেখে তদন্ত করছে। রাজনৈতিক দলের ক্যাডারের মতো আচরণ করছে।” ঘটনার খবর পাওয়ামাত্রই মল্লারপুরের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ (Saumitra Khan)। এদিকে, এই ঘটনা নিয়ে তোপ দেগেছেন অনুপম হাজরা। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও কটাক্ষ করেন তিনি।
ঘটনার সূত্রপাত বৃহস্পতিবার রাতে। এদিন চুরির অভিযোগে বীরভূমের (Birbhum) মল্লারপুরের বারুইপাড়ার বাসিন্দা শুভ মেহেনা নামে এক নাবালককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। নিয়ে যাওয়া হয় থানায়। গভীর রাতে মৃত্যু হয় শুভর। এরপরই পুলিশের বিরুদ্ধে একরাশ ক্ষোভ উগরে দেন মৃতের পরিবারের সদস্যরা। তাঁদের অভিযোগ, লকআপে অমানুষিক অত্যাচারের কারণেই মৃত্যু হয়েছে শুভর। পুলিশই খুন করেছে তাঁদের পরিবারের সদস্যকে। অভিযুক্ত পুলিশ কর্মীদের শাস্তির দাবিও জানান তাঁরা। ক্ষোভে ফেটে পড়েন স্থানীয়রা। সকাল হতেই জাতীয় সড়ক অবরোধ করে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন তাঁরা। কার্যত রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় এলাকা।
তবে পুলিশের দাবি, লকআপে থাকাকালীন গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মঘাতী (Suicide) হয়েছে শুভ। পুলিশ কর্মীরা তাঁকে কোনওরকম নিগ্রহ করেনি। আর পুলিশের এই দাবি মানতে নারাজ দিলীপ ঘোষ। তাঁর প্রশ্ন, লকআপে আত্মহত্যা কীভাবে সম্ভব? এদিন দিলীপবাবু বলেন, “গামছা নেই, দড়ি নেই। তাহলে লকআপে কীভাবে আত্মঘাতী হল শুভ?” এরপরই পুলিশকে কাঠগড়ায় তুলে তিনি বলেন, “রাজনৈতিক ক্যাডারের মতো আচরণ করছে পুলিশ। তৃণমূলের ক্যাডারের মতো রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করছে।বিজেপি সমর্থক হওয়ার কারণেই খুন করা হয়েছে ওই নাবালককে।” একই সুর বিজেপির অন্যান্য নেতাদের গলায়ও। উল্লেখ্য, এই ঘটনার প্রতিবাদে আগামিকাল মল্লারপুরে ১২ ঘণ্টা বনধের ডাক দিয়েছে বিজেপি (BJP)।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.