ফাইল ছবি
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী গ্রামীণ সড়ক যোজনার অর্থ বরাদ্দ প্রসঙ্গে রাজ্য সরকারকে বিঁধতে গিয়ে বেফাঁস দিলীপ ঘোষ। পূর্ব মেদিনীপুরের মহিলা জেলাশাসককে কুরুচিকর আক্রমণ বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি। পাশাপাশি, নাম না করে গরু পাচার মামলায় জেলবন্দি তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডলকেও একহাত নিলেন তিনি।
পঞ্চায়েত নির্বাচনের (WB Panchayet Election) আগে কেন্দ্রীয় প্রকল্পে বাংলার জন্য অর্থ বরাদ্দ করল গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রক। প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনায় (PMGSY) বাংলার জন্য ৫৮৪ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে বলে খবর নবান্ন (Nabanna) সূত্রে। শুক্রবার নদিয়ার কল্যাণীতে দাঁড়িয়ে এ বিষয়ে মুখ খুললেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ। বলেন, “প্রধানমন্ত্রী গ্রামীণ সড়ক যোজনায় আগে থেকেই এই শর্তগুলি ছিল। এই সরকার মানে না। তাই রিমাইন্ডিং দিয়েছে। যখন প্ল্যানিং হবে, কোন রাস্তাটা তৈরি হবে, সেটা এমএলএ, এমপি’র মতামত নিয়ে করা দরকার। আমি সাড়ে তিন বছরের এমপি আমাকে জিজ্ঞাসা করেনি। গত বছর একবার সার্কুলার দিয়েছিল রাস্তা হয়ে যাওয়ার পর। আমাকে জেলাশাসক পাঠিয়েছিল। এই রাস্তা ঠিক করেছি আমরা করব। তুই ঠিক করার কে রে? পাবলিক আমাকে জিতিয়েছে আমি ঠিক করবো। তুই ঠিক করে দিয়েছিস। তোর বাপের টাকা? তাই কেন্দ্রের সরকার এদেরকে বারবার শর্ত দিচ্ছে নাহলে টাকা বন্ধ করে দেব। আইনে সবই আছে, কিন্তু এখানকার সরকার কোনও আইন মানে না। মানবে এবারে। নাহলে যেমন ১০০ দিনের কাজের টাকা বন্ধ আছে, পঞ্চায়েতের বিভিন্ন টাকা বন্ধ আছে, এটা বন্ধ হয়ে যাবে পুরোপুরি। করো তোমরা পারলে। লুট করার জন্য টাকা কেন্দ্র দেবে না।”
একই ইস্যুতে রাজ্য সরকার দুষেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও। কোনও জায়গায় নাম বদল করে যদিও কেন্দ্রীয় প্রকল্পের কাজ চলে তবে সরাসরি কেন্দ্রীয় পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রীকে অভিযোগ জানানোর হুঁশিয়ারি দিয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। এ বিষয়ে অভিযোগ জানাতে একটি ই-মেল আইডি’র কথাও উল্লেখ করেছেন। তবে একজন মহিলা জেলাশাসকের উদ্দেশে দিলীপের এহেন মন্তব্য নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই উঠেছে সমালোচনার সুর। দিলীপ ঘোষকে ‘ভাষারত্ন’ দেওয়ার দাবিতে সরব তৃণমূল। বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি সমর্থন করে না সিপিএমও।
এছাড়া এদিন দিলীপ ঘোষের নিশানায় ছিলেন গরু পাচার মামলায় আপাতত জেলবন্দি অনুব্রত মণ্ডলও। নাম না করে বিজেপি নেতা বলেন, “এখন সুদ জমছে। একসময় সব হিসেব হবে। তৃণমূল নেতাদের সব হিসেব দিয়ে যেতে হবে। একজন মন্ত্রী গিয়ে বললেন, বাঘ নাকি খাঁচায় আছে। বাঘ না বাঘরোল বোঝা যাচ্ছে না। দিল্লি গেলেই টের পাবেন ওখানকার রুটি আর চা কেমন।” উল্লেখ্য, সিবিআইয়ের পর অনুব্রতকে বৃহস্পতিবারই গ্রেপ্তার করেছে ইডি। তাঁকে দিল্লি নিয়ে জেরার আরজি জানিয়ে দিল্লির রাউজ অ্যাভিনিউ আদালতে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। এই প্রেক্ষাপটে দিলীপ ঘোষের মন্তব্য যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.