রঞ্জন মহাপাত্র, দিঘা: এভাবে রাতারাতি স্বপ্নপূরণ হবে, ভাবেননি দিঘার ‘ঘটিগরম কাকু’ স্বরাজ ভট্টাচার্য। সোমবার গরমাগরম ঘটিগরম খেয়ে অভিভূত মুখ্যমন্ত্রী তাঁকে ডেকে মোমো খাইয়েছিলন। খোঁজ নিয়েছিলেন তাঁর বাড়ি,ঘরদোরের। কলকাতার বাসিন্দা স্বরাজবাবু বলেছিলেন, দিঘায় ব্যবসা হলেও, থাকার জায়গা নেই। বাড়িঘর তো দূরের কথা। স্বরাজবাবুর এই কথা শুনে মুখ্যমন্ত্রী জেলাশাসককে ডেকে মুখ্যমন্ত্রী
দিঘার কাছাকাছি একটি জমির ব্যবস্থা করে দেওয়ার নির্দেশ দেন।
তবে ব্যবস্থা যে এত দ্রুত হয়ে যাবে, এতটা আশা করেননি স্বরাজবাবু। মুখ্যমন্ত্রী দিঘা ছাড়ার আগেই তাঁকে ডেকে পাঠিয়ে জমির পাট্টা তুলে দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার রামনগর ১ ব্লকের বিডিও অফিসে স্বরাজবাবুকে ডেকে পাঠানো হয়। পাশাপাশি রামনগর বাজার লাগোয়া একটি জায়গা রেকর্ড-সহ পাট্টা তুলে দেওয়া হয় স্বরাজবাবুর হাতে। জায়গার পাট্টার কাগজ হাতে পেয়ে খুশি স্বরাজ বাবু জানান, “মুখ্যমন্ত্রী খালি
হাতে কাউকে ফেরান না, এটা শুনেছিলাম। এবার তা নিজেই উপলব্ধি করলাম।”
দিঘার সমুদ্র সৈকতে গলায় বাক্স ঝুলিয়ে ঘটিগরম বেচেন স্বরাজ ভট্টাচার্য। দিঘা ঘুরে গিয়েছেন, আর তাঁকে চেনেন না – এমন পর্যটক প্রায় নেই বললেই চলে। রামনগর ১ ব্লকের ঠিকরাতে একটি ছোট্ট ঘর ভাড়া নিয়ে থাকেন তিনি। একটি জায়গা পাট্টা নিয়ে বাড়ি বানানোর ইচ্ছে দীর্ঘদিনের। সোমবার মুখ্যমন্ত্রী দিঘা সফরে যান। স্বরাজ ভট্টাচার্যও রোজকারমতো ঘটিগরম বিক্রি করছিলেন সমুদ্র সৈকতে। মুখ্যমন্ত্রী ডেকে
পাঠান স্বরাজকে। আর তারপরই স্বপ্নপূরণ।
একসময় স্বরাজবাবু বেসরকারি গোয়েন্দা সংস্থায় চাকরি করতেন। কলকাতার বাসিন্দা ছিলেন। পরিবারের সঙ্গে মন কষাকষির কারণে চলে আসেন দিঘার কাছে রামনগরে। বছর দশেক ধরে তিনি সৈকত শহরে ‘ঘটিগরম কাকু’ নামেই পরিচিত হয়েছেন। এক ডাকে এখন দিঘায় আসা পর্যটকরা চেনেন। মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে দীর্ঘদিনের ইচ্ছেপূরণ হওয়ায় খুশি তিনি ও তাঁর পরিবারের সকলে। স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব বলছে, এভাবেই রাজ্যের প্রতিটি মানুষের অভাব-অভিযোগ মন দিয়ে শুনে তার সমাধান করতে সদা তৎপর মুখ্যমন্ত্রী তথা সকলের দলনেত্রী। আর
তাই সকলের কাছে ‘দিদি’।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.