রঞ্জন মহাপাত্র, কাঁথি: ভাড়া নিয়ে বচসার জেরে পর্যটক বনাম টোটো চালকের সংঘর্ষে ধুন্ধুমার দিঘায়। রবিবার বিকেলে পর্যটক ও টোটো চালকদের মধ্যে সংঘর্ষে একাধিক ব্যক্তি গুরুতর জখম হয়েছেন। আহত হয়েছেন পর্যটক, হোটেল কর্মী ও টোটো চালকরাও। সংঘর্ষের সময় এক পর্যটক বন্দুক বের করে ভয় দেখায় বলেও অভিযোগ। পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় দিঘা, মোহনা থানা এবং রামনগর থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে। কয়েকজন পর্যটককে আটক করে থানায় নিয়ে গিয়েছে পুলিশ। এই ঘটনায় এখনও গ্রেপ্তার করা হয়নি। ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছে দুজন পর্যটক। তাদের দিঘার স্থানীয় স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
সূত্রের খবর, উত্তর ২৪ পরগণার বনগাঁ থেকে প্রায় ১২৫ জন পর্যটকের একটি দল নিউ দিঘার দু’টি হোটেলে এসে ওঠে। রবিবার বিকেলে তাঁদের মধ্যে কয়েকজন উদয়পুর যাওয়ার জন্য টোটো ভাড়া করতে যায়। সেই সময় টোটো চালকরা তাঁদের অত্যধিক ভাড়া দাবি করে বলে অভিযোগ। এই নিয়ে শুরু হয় বচসা। পর্যটকরা সংখ্যায় বেশি থাকায় টোটো চালকদের সঙ্গে ধ্বস্তাধ্বস্তি শুরু করে। সেই সময় পর্যটকদের দলে থাকা এক ব্যক্তি বন্দুক নিয়ে ভয় দেখায় বলে অভিযোগ টোটো চালকদের। তাদের বিরুদ্ধেও বেধড়ক মারধরের অভিযোগ করে হোটেলকর্মীরা। খবর পেয়ে দলে দলে টোটো চালক ও স্থানীয় বাসিন্দারা বাঁশ, লাঠি নিয়ে হোটেলে চড়াও হয়। মারাত্মক সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। টোটো চালকরা এরপর হোটেলেও ব্যাপক ভাঙচুর চালায়। ঘটনাস্থলে আসে দিঘা থানার পুলিশ। কিন্তু পরিস্থিতি হাতের বাইরে যাচ্ছে দেখে দিঘা মোহনা কোস্টাল থানা ও রামনগর থানা থেকেও পুলিশ ফোর্স চাওয়া হয়। অবশেষে দু’টি হোটেলেই বিশাল সুরক্ষা বাহিনী। সেই সঙ্গে কয়েকজন পর্যটককে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ চালানো হচ্ছে। পুলিশ জানিয়েছে, সন্ধের দিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এসেছে।
পূর্ব মেদিনীপুরের নিউ দিঘার ভিক্টোরিয়া হোটেল ও তার পাশের একটি হোটেলে ওঠে এই পর্যটকরা। আগত পর্যটকদের একটি দল উদয়পুর ঘুরতে যাওয়ার পরিকল্পনা করে। ভাড়া নিয়ে বচসা শুরু হয়। টোটো চালকদের সঙ্গে ধ্বস্তাধ্বস্তি করে পর্যটকরা। এরপরই বাঁশ, লাঠি নিয়ে হোটেলে এসে ভাঙচুর চালায় টোটো চালক ও স্থানীয় বাসিন্দারা। তাদের দাবি, পর্যটকরা মদ্যপ অবস্থায় গালিগালাজ করছিল। ভয়ে পালিয়ে যায় হোটেল কর্মীরাও। এখনও হোটেলে বিশাল পুলিশবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। পুলিশের ভূমিকা নিয়ে ও পর্যটকদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। বিষয়টি নিয়ে মন্তব্য করতে নারাজ পূর্ব মেদিনীপুরের জেলা পুলিশ সুপার।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.