Advertisement
Advertisement
Mamata Banerjee

অক্ষয় তৃতীয়াতেই উদ্বোধন দিঘার জগন্নাথ মন্দিরের, রথযাত্রার সোনার ঝাড়ু বানিয়ে দেবেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী

কেমন হবে মন্দির, এদিন সেই নীলনকশা স্পষ্ট করে দিলেন মমতা।

Mamata Banerjee: Digha Jagannath Temple will be inaugurated on Akshaya Tritia said WB CM
Published by: Paramita Paul
  • Posted:December 11, 2024 3:11 pm
  • Updated:December 11, 2024 5:03 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মাত্র তিন মাসের মধ্যেই শেষ হবে দিঘার জগন্নাথ মন্দিরের কাজ। অক্ষয় তৃতীয়ায় মন্দিরের উদ্বোধন। আগামী বছরেই দিঘায় শুরু হবে রথযাত্রাও। বুধবার মন্দির পরিদর্শনের পর জানিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কেমন হবে মন্দির, এদিন সেই নীলনকশাও স্পষ্ট করে দিলেন তিনি। সঙ্গে জানালেন, রথযাত্রার সোনার ঝাড়ুও বানিয়ে দেবেন। এই উদ্দেশ্যে নিজের অ্যাকাউন্ট থেকে অনুদান দেবেন পাঁচ লক্ষ টাকা। তবে বানিয়ে দেবে ইসকন।

জগন্নাথ মন্দির পরিদর্শনের উদ্দেশ্যে মঙ্গলবারই দিঘা পৌঁছন মুখ্যমন্ত্রী। বুধবার বেলা দেড়টা নাগাদ মন্দির চত্বরে যান তিনি। সঙ্গে ছিলেন মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ, জেলাশাসক, বিধায়ক ছাড়াও ছিলেন কলকাতা ইসকনের ভাইস প্রেসিডেন্ট রাধারমণ দাস। পরিদর্শনের পর মুখ্যমন্ত্রী জানান, “সমুদ্রসৈকতে একটি জগন্নাথ মন্দির তৈরি করব বলে ঠিক করেছিলাম। আমার সঙ্গে সরকারি আধিকারিকরা ছিলেন। তিন বছর পর সেই কাজ শেষ হল।” তিন মাসের মধ্যে বাকি কাজ শেষ হয়ে যাবে। আগামী অক্ষয়া তৃতীয়ায় মন্দিরের উদ্বোধন হবে। আগামী বছর হবে রথযাত্রাও। ‘রীতি’ ভেঙে এবার রথযাত্রায় দিঘার মন্দিরে থাকবেন মুখ্যমন্ত্রী। উলটো রথে ইসকনের রথে যাবেন তিনি। ইসকনের ভাইস প্রেসিডেন্টও আসবেন দিঘার মন্দিরে। পুজোর ৪৮ ঘণ্টা আগে দিঘায় পৌঁছে যাবেন তাঁরা। মুখ্যমন্ত্রীর আশা, “আগামী কয়েক হাজার বছর ধরে বাংলার সমুদ্রতীরে অন্যতম তীর্থধাম হবে এই জগন্নাথ মন্দির।”

Advertisement

মন্দির পরিচালনার জন্য মুখ্যসচিবকে মাথায় রেখে তৈরি হচ্ছে ট্রাস্টি বোর্ডও। তাতে থাকবেন না মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বোর্ডের সদস্য হবেন পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসক, জেলার পুলিশ সুপার, ইসকন এবং সনাতন ধর্মের প্রতিনিধি এবং দিঘার মাসির বাড়ি জগন্নাথ দেবের মন্দিরে যিনি পুজো করতেন। মুখ্যমন্ত্রী জানান, ২২ একর জমির উপর মন্দির তৈরি করতে প্রায় আড়াইশো কোটি টাকা খরচ করেছে রাজ্য সরকার। আগামী আরও কয়েক বছর মন্দিরের সমস্ত খরচ বহন করবে সরকার।

কেমন হবে মন্দির? কী কী থাকবে সেখানে? এদিন তাও বিস্তারিত জানান মুখ্যমন্ত্রী। জানান, আলাদাভাবে ভোগঘর, স্টোর রুম, গেস্ট রুম, বিশ্রাম নেওয়ার জায়গা থাকবে। পুজো দেওয়ার সামগ্রী বিক্রির আলাদা জায়গা থাকবে। সেখানে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদেরে জিনিসপত্র বিক্রির ব্যবস্থাও করা হবে। দোকান করবেন সনাতন ধর্মের লোকেরাও। পুরীর খাজার মতো দিঘায় মিলবে বাংলার ক্ষীরের গজা, প্যাড়া, গুজিয়া। এগুলোর জন্য আলাদা আলাদা ঘর তৈরি করে হবে ট্রাস্টি। মার্বেলের মূর্তি তৈরির কাজ শেষ। নিম কাঠের মূর্তি বানানোর কাজ চলছে। এই মূর্তিকে সামনে রেখেই পুজো হবে। এছাড়াও তৈরি হবে লক্ষ্মীর মন্দিরও। বানানো হবে চৈতন্যদ্বারও। সেখানে থাকবে শ্রীচৈতন্যদেবের মূর্তি। এটাই হবে মূল দ্বার। নাম হবে, ‘চৈতন্যদ্বার জগন্নাথ ধাম।’ পুরীর মতোই এখানেও ধ্বজা তোলার ব্যবস্থা থাকবে। এনিয়ে পুরীর সদস্যদের সঙ্গেও কথা হয়েছে। সেখানকার মন্দিরে ধ্বজা তুলতে পারেন এমন কয়েকজনকে দিঘার মন্দিরে পাঠানোর অনুরোধও জানিয়েছে মুখ্যমন্ত্রী। এর পাশাপাশি, দিঘায় জগন্নাথ দেবের মাসির বাড়ির কাছে একটি ঘাট তৈরি করে দেবে হিডকো। জেলা পরিষদের বাড়ি অধিগ্রহণ করে তৈরি হবে পুলিশ পোস্ট। এছাড়া, স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও অগ্নি নির্বাপণ কেন্দ্র তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে। রাজ্য-দেশের গণ্ডি পেরিয়ে গোটা বিশ্বের মানুষকে দিঘার মন্দিরে আসার আমন্ত্রণ জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। 

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement