সৈকত মাইতি, তমলুক: দুটি হাত নেই৷ কিন্তু, তাতে কী! জেলার বিভিন্ন পুজো মণ্ডপে পা দিয়ে অক্টোপ্যাড বাজিয়ে তাক লাগিয়ে দিতে চান পূর্ব মেদিনীপুরের তমুলকের পার্বতী৷ আবাসিকের এমন ইচ্ছায় উচ্ছ্বসিত নিমতৌড়ি তমলুক উন্নয়ন সমিতি৷ অনুপ্রাণিত জেলার অন্য প্রতিবন্ধীরাও৷
[মায়ের কথা মনে পড়ে গেল, বৃদ্ধার সাহায্যার্থে এই কাজটাই করলেন পুলিশ আধিকারিক]
পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুকের পূর্বনখা এলাকায় বাড়ি পার্বতীর৷ জন্ম থেকে দুটি হাত নেই তাঁরা৷ বাড়িতে আরও চার বোন ও এক ভাই৷ অভাবের সংসারের বাবা-মায়ের পক্ষে প্রতিবন্ধী সন্তানের দায়িত্ব সম্ভব ছিল না৷ নিমতৌড়ি তমলুক উন্নয়ন সমিতির হোমে পার্বতীকে রেখে যান তাঁরা৷ হোমে দুই পায়ে ঘর-গৃহস্থালির সমস্ত কাজ করা শিখেছেন ওই তরুণী৷ এখন কারও সাহায্যের প্রয়োজন পড়ে না৷ বরং বাবার মৃত্যুর পর, পার্বতীর রোজগারে সংসার চলে৷ স্রেফ পায়ের সাহায্যে অনায়াসে ১০ জনের রান্নাও করতে দিতে পারেন পার্বতী! এখন আবার পোশাক তৈরিরও প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন তিনি৷ শুধু ঘরের কাজেই নয়, খেলাধূলোতেই নজরকাড়া সাফল্য৷ বছর সাতেক আগে চেন্নাইয়ে প্যারা অলিম্পিকে সাঁতারে সোনা ও রূপো পদক জিতে রীতিমতো সাড়া ফেলে দিয়েছিলেন পার্বতী৷ এখানেই শেষ নয়৷ পায়ে দিয়ে অক্টোপ্যাডও বাজান৷ হোমের আবাসিকদের নিয়ে এক মিউজিক্যাল ট্রপও তৈরি করেছেন পার্বতী৷ স্বাভাবিক কারণে তাঁকে গর্বের শেষ নেই তমলুকের নিমতৌড়ি উন্নয়ন সমিতির৷ সমিতির সম্পাদক যোগেশ সামন্ত বলেন, মেরে ফেলার জন্য একসময়ে পার্বতীকে তিনদিন জল পর্যন্ত দেওয়া হয়নি৷ এখন অনন্যা হয়ে উঠেছেন তিনি৷
[ শিলিগুড়িতে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর জন্য আলাদা শপিং মল, অভিনব উদ্যোগ এসজেডিএ-র]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.