Advertisement
Advertisement

Breaking News

বিশেষ ক্ষমতাসম্পন্ন

সঙ্গীর অসাড় হাত ধরলেন দৃষ্টি হারানো মেয়ে, বিয়েতে সম্পন্ন প্রেমের বৃত্ত

জেলাশাসক নিজে দাঁড়িয়ে বাঁকুড়ায় বিশেষভাবে সক্ষম দেবাশিস-ছবির বিয়ে দিলেন৷

Differently abled man brings light to visually impaired girl's life
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:July 13, 2019 10:18 am
  • Updated:July 13, 2019 10:18 am  

টিটুন মল্লিক, বাঁকুড়া: প্রেম অবাধ, সীমাহীন, অনন্ত৷ এই শাশ্বত সত্যকে আঁকড়ে ধরেই যে জীবনের পথা চলা যায়, নিজেদের জীবনের অভিজ্ঞতা থেকে সেকথাই ফের প্রতিষ্ঠা করে গেলেন বাঁকুড়ার নববিবাহিত যুগল৷ ফের বুঝিয়ে দিলেন, মানুষ শুধু মানুষেরই জন্য৷

[আরও পড়ুন: বিয়ের কথা পাকা করতে এসে মৃত্যু প্রেমিকের, নদিয়ার মর্মান্তিক ঘটনায় চাঞ্চল্য]

বাঁকুড়া শহরের রাস্তায় ঘুরে ঘুরে লটারি বিক্রি করেন আশ্রম পাড়ার বিশেষ ক্ষমতাসম্পন্ন যুবক দেবাশিস দাস৷ তিনি নিজের জীবনসঙ্গী
হিসেবে বেছে নিলেন হোমে আশ্রিতা যুবতী ছবিকে, যিনি তাঁরই মতো বিশেষভাবে সক্ষম। শুক্রবার জেলাশাসকের সামনে শহরের এক্তেশ্বর মন্দিরে চার হাত এক হল। দেবাশিস দাসের ডান পা এবং ডান হাত শক্তিহীন৷ এমন শারীরিক প্রতিবন্ধকতাকে হারিয়ে রোজ সকাল থেকে ছুটে বেড়ান তিনি। আর দেবাশিসের শক্তিহীন সেই হাত ধরতে দ্বিধা করেননি দৃষ্টিহীন ছবি হেমব্রম৷ কারণ, তাঁর অন্তর্দৃষ্টি দিয়ে দেবাশিসের অন্তরের প্রেমের জোয়ার উপলব্ধি করেছিলেন ছবি৷
তাঁর সঙ্গেই বিয়ের বাঁধনে বাঁধা পড়লেন বিষ্ণুপুর প্রবুব্ধ ভারতী শিশু তীর্থ গৃহ হোমের আবাসিক ছবি হেমব্রমের। হোম সূত্রে খবর, জন্ম থেকেই এক চোখের দৃষ্টি কম ছবির। বছর দুয়েক আগে চাইল্ড লাইনের মাধ্যমে হোমে আসে সে। ছোটবেলা থেকেই অনাথ ছবির বাড়ি বাঁকুড়া-১ নম্বর ব্লকের কল্যাণপুর। মা-বাবার মৃত্যুর পর অন্যের বাড়িতে পরিচারিকার কাজ করেই দিন কাটত। বছর দুয়েক আগে স্থানীয়দের উদ্যোগে অনাথ মেয়েটি চাইল্ড লাইনের মাধ্যমে বাঁকুড়ার নেতাজি হোমে ঠাঁই পায়। ওই হোমটি বন্ধ হওয়ার পর তাঁকে বিষ্ণুপুরের সরকারি হোমে আনা হয়।

Advertisement

[আরও পড়ুন: তান্ত্রিকের ডেরায় রহস্যমৃত্যু যুবকের, কুড়ুল উদ্ধারে জোরাল নরবলি তত্ত্ব]

সম্প্রতি বিশেষভাবে সক্ষম ছেলের বিয়ে দেওয়ার জন্য অনাথ পাত্রীর খোঁজে জেলা প্রশাসনের দ্বারস্থ হন দেবাশিসের বাবা পেশায় গাড়ি চালক অজিত দাস। ছবিকে দেখে পছন্দও হয় অজিতবাবুর। কথাবার্তা চূড়ান্ত করে অবশেষে শুক্রবার হল বিয়ে। প্রস্তুত ছিল বাঁকুড়া সমাজ কল্যাণ দপ্তর। এদিন এক্তেশ্বর মন্দিরে সাত পাকে বাঁধা পড়লেন দেবাশিস-ছবি। দেবাশিসের কথায়, “এ ধরনের মেয়েদের জীবনকে নিয়তি বলে মেনে নেওয়ায় আমি কোনওদিনই বিশ্বাসী হতে পারিনি। বিশেষভাবে সক্ষম মেয়েদের প্রতি সমাজের দৃষ্টিভঙ্গি বদলে দিতেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমি। আমার পরিবার এক্ষেত্রে প্রভূত সাহায্য করেছে।”শুক্রবার বাঁকুড়ার এক্তেশ্বর মন্দিরে এই বিয়ের আসরে হাজির ছিলেন জেলাশাসক উমাশঙ্কর এস। দেবাশিস-ছবির সুখী দাম্পত্য জীবনের জন্য শুভেচ্ছা জানিয়েছেন সকলেই৷

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement