Advertisement
Advertisement
মিড-ডে মিল

খাদ্যতালিকা মেনে মিড-ডে মিলে মাংস-ডিম, নজির বর্ধমানের স্কুলের

পিছিয়ে পড়ুয়াদের কথা ভেবেই এই আয়োজন, জানান প্রধান শিক্ষক।

Different menu served in mid day meal at Burdwan's school
Published by: Tiyasha Sarkar
  • Posted:September 18, 2019 4:27 pm
  • Updated:September 18, 2019 4:27 pm  

রাজ্যে একের পর এক বিভিন্ন স্কুলে মিড-ডে মিলের বেহাল দশার ছবি প্রকাশ্যে এসেছে। কোথাও আবার দেখা গিয়েছে নিজেদের গাঁটের কড়ি খরচ করে খুদেদের পেটভরে খাওয়াচ্ছেন শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীরা। কী অবস্থা রাজ্যের বাকি স্কুলগুলির? চালচিত্র দেখতে পৌঁছে গেল সংবাদ প্রতিদিন.ইন।

রিন্টু ব্রহ্ম, কালনা: মিড-ডে মিলের খাবারের মান নিয়েও বারবার উঠেছে নানা অভিযোগ। সেই সময়েই অন্য ছবি বর্ধমানের একটি প্রাথমিক স্কুলে। মিড-ডে মিলে পড়ুয়াদের খাবার খাইয়ে নজির গড়েছে স্কুল কর্তৃপক্ষ। খাদ্যতালিকা মেনে পড়ুয়াদের পাতে পড়ছে দুধ, আপেল, ডিম। শুধু তাই নয়, মাসে এক দিন মিলছে মাংসও। শেষ কয়েক বছর ধরে এমন বাহারি পদই মিলছে পাচ্ছে বর্ধমানের বিজরামের শম্ভুচরণ গুহ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা।

Advertisement

[আরও পড়ুন: রোগীদের ভুল ইঞ্জেকশন দেওয়ার অভিযোগ, উত্তেজনা ধুবুলিয়া স্বাস্থ্যকেন্দ্রে]

২০১৬ সালে ওই স্কুলে প্রধান শিক্ষক হিসেবে যোগ দেন বিপ্লব সাঁই। এরপর নিজের উদ্যোগেই মিড-ডে মিলের খাদ্যতালিকায় বদল এনেছেন তিনি। মেনুতে যোগ হয়েছে একাধিক পদ। স্কুলের ভিতরেই টাঙিয়ে দেওয়া হয়েছে সেই মেনু। সোমবার ভাতের সঙ্গে মিলবে ডিম, আলুর ঝোল, সবজি। মঙ্গলবার আলুপোস্ত ভাত ও দুধ। বুধবার ডিম, আলুর ঝোল। আলু ও সবজি দিয়ে তরকারি। বৃহস্পতিবার আলু-সোয়াবিনের তরকারি শেষে চাটনি। শুক্রবারও একই মেনু শুধু চাটনির পরিবর্তে আপেল। শনিবার সবজি দিয়ে খিচুড়ি, চাটনি। আর মাসে একদিক মুরগির মাংস। কিন্তু যেখানে রাজ্যের অন্যান্য স্কুলগুলি পড়ুয়াদের নিয়মিত খাবার দিতেই হিমশিম খাচ্ছে, সেই পরিস্থিতিতে কীভাবে এই খাদ্যতালিকা মেনে খাবারের আয়োজন হচ্ছে? জানালেন প্রধান শিক্ষকই।

mid-day-meal
সাপ্তাহিক খাদ্যতালিকা

এবিষয়ে প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে কথা বলা হলে তিনি জানান, নিজেদের পকেট থেকে কোনও খরচ না করেই এমনটা সম্ভব হচ্ছে। কারণ, খুব নিপুণভাবে হিসেব করে গোটা ব্যবস্থা করা হয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, “একবারে সারা মাসের বাজার করা হয়। কয়েক দিনের মেনুতে ভাতের সঙ্গে শুধু আলু, সবজি, সোয়াবিন, কুমড়ো রাখা হয়েছে। ফলে সেই দিনগুলোর খরচ অন্যদিনের তুলনায় অনেকটাই কম। ফলে ওই দিনের খাবারে বেঁচে যায় কিছুটা টাকা। আর সেই টাকা দিয়েই কেনা হয় আপেল, দুধ। 

[আরও পড়ুন: নাগরিক পঞ্জিতে আদৌ নাম উঠবে? উৎকন্ঠায় আত্মঘাতী মুর্শিদাবাদের যুবক]

তাঁর কথায়, “প্রাথমিক স্কুলের পড়ুয়ারা বেশির ভাগই দরিদ্র পরিবারের। তাই মিড-ডে মিলের খাবারে তারা যাতে মন ভরে খেতে পারে সেই চেষ্টা করেছিলাম। তাতেই সফল হয়েছি। নানা আধিকারিক ও স্থানীয়রা স্কুলের এই মেনু দেখে প্রশংসা করেন।” স্কুলের এক শিক্ষক বলেন, “স্কুলের পড়ুয়ার সংখ্যা বেশি হলেও সততার সঙ্গে কাজ করলেই পড়ুয়াদের একটু ভাল খাওয়ানো যায়।” স্কুলের চতুর্থ শ্রেণির দুই পড়ুয়াদের মধ্যে দীপক, সুস্মিতা, সুদীপ বলে,” স্কুলের খাবার খেতে খুব ভাল। একদম বাড়ির মতোই।”

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement