বিক্রম রায়, কোচবিহার: দিল্লির আমন্ত্রণ খামবন্দি হয়েই রইল। আজ, বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী হিসাবে নরেন্দ্র মোদির দ্বিতীয়বার শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে থাকতে পারলেন না পঞ্চায়েত নির্বাচনে নিহত পরিবারের সদস্যরা। উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলা বিজেপি নেতৃত্ব এই বিষয়ে যথেষ্ট তৎপর হলেও উল্টো ছবি কোচবিহারে। গোপালপুর এলাকার বিজেপি কর্মী দুলাল ভৌমিকের পরিবার জানতেই পারেনি যে, প্রধানমন্ত্রীর শপথ অনুষ্ঠানে তাঁদের উপস্থিত থাকতে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। এখানেই শেষ নয়, ওই পরিবারের পরিবর্তে অন্য এক পরিবারের সদস্যকে দিল্লিতে পাঠিয়ে দেওয়ায় সমালোচনার ঝড় উঠেছে।
জেলা বিজেপি সভানেত্রী মালতি রাভা ও প্রাক্তন জেলা সভাপতি নিত্যানন্দ মন্ত্রী শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে বুধবার দিল্লি রওনা হন। নিত্যানন্দবাবু বলেন, “কোথাও যোগাযোগের সমস্যা হয়েছে।” অন্য পরিবারকে পাঠিয়ে দেওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “কোচবিহারে প্রধানমন্ত্রীর সভায় আসার পথে প্রভাত মণ্ডল নামে এক বিজেপি কর্মী বাস থেকে পড়ে যান। ওই কারণে তাঁর পরিবারকে শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে পাঠানো হয়েছে।” বিজেপির জেলা নেতা নিখিলরঞ্জন দে জানিয়েছেন, দল ওই পরিবারের পাশে রয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর পরবর্তী কোনও অনুষ্ঠানে তাঁদের নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করা হবে। তবে নিহত দুলাল ভৌমিকের স্ত্রী মীরা ভৌমিক ও পুত্র দীপক ভৌমিক আশ্বস্ত হতে পারছেন না।
পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় কোচবিহার ২ ব্লকের গোপালপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় ১২১ নম্বর বুথে ভোট দিতে গিয়েছিলেন বিজেপি কর্মী দুলাল ভৌমিক। অভিযোগ, আগ্নেয়াস্ত্র ও লাঠি নিয়ে বুথে হামলা চালায় দুষ্কৃতীরা। পালাতে গিয়ে মাথায় আঘাত পান দুলালবাবু। পরিবারের লোকেদের দাবি, অ্যাম্বুলেন্সের জন্য দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়। শেষপর্যন্ত ঘটনার ঘন্টা দেড়েক পর হাসপাতালে নিয়ে গেলে দুলাল ভৌমিককে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। পরিবারের লোকেদের বক্তব্য, স্রেফ বিজেপি করার অপরাধে দুলাল ভৌমিকের নাম জব কার্ড থেকে বাদ পড়েছিল। তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েত থেকে কোনও সুযোগ-সুবিধাই পেতেন না তাঁরা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.