ফাইল ফটো
সৈকত মাইতি, তমলুক: রাজ্য কর্মচারী ফেডারেশনের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হল মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীকে (Suvendu Adhikari)। সোমবার তৃণমূল ভবনে এক বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে সূত্রের খবর। বদলে এককভাবে সেই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে দিব্যেন্দু রায়কে। শীর্ষ নেতৃত্বের এই সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ শুভেন্দুর অনুগামীরা। সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন তাঁরা। তবে এ নিয়ে মন্ত্রীর কোনও প্রতিক্রিয়া এখনও পাওয়া যায়নি। তবে সূত্রের খবর, ২০২১ সালের নির্বাচনকে পাখির চোখ করে কমিটির খোলনলচে বদলের নির্দেশ দিয়েছেন খোদ তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
সূত্রের খবর, কিছুদিন ধরেই তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে রাজ্যের পরিবহণ, সেচ ও জলসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীর মন কষাকষি চলছে। লকডাউনের সময় দলীয় কর্মসূচিতে শুভেন্দুকে বিশেষ দেখা যায়নি। এমনকী, কিছুদিন আগে জেলার যুব তৃণমূল সভাপতির পদ থেকে শুভেন্দুর অনুগামী তথা ময়নার বিধায়ক সংগ্রাম কুমার দলুইকে সরিয়ে দেওয়া হয়। বদলে পার্থ মাইতি ওই পদে বসেন। এরপরই অনুগামীদের কাছে ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন সংগ্রাম। সূত্রের খবর, ঘনিষ্ঠদের কাছে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন শুভেন্দুও। এরপর ফের ধাক্কা। এবার রাজ্য কর্মচারী ফেডারেশনের মেন্টর পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হল তাঁকে। এরপর থেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন শুভেন্দুর অনুগামীরা।
জানা গিয়েছে, সোমবার তৃণমূল ভবনে বৈঠকে বসেছিলেন সুব্রত বক্সি ও পার্থ চট্টোপাধ্যায়। সেখানেই কমিটি ভেঙে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এই কমিটিতে চিফ মেন্টর পদে ছিলেন শুভেন্দু। সঙ্গে আরও তিনজন আহ্বায়ক ছিলেন। কিন্তু বর্তমানে নতুন ৪১ জনের নতুন কমিটিতে একক দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে দিব্যেন্দু রায়কে। প্রসঙ্গত, এই সরকারি আধিকারিক দিব্যেন্দু রায় কমিটির আহ্বায়ক পদে ছিলেন। বাকি দুজন সৌম্য ঘোষ ও স্বপন ঘড়ুই অবসর নিয়ে নিয়েছেন। ফলে কমিটির অনেকটাই নিষ্ক্রিয় হয়েছিল। জেলাস্তরে কমিটি গঠনের কাজ থমকে ছিল। দিব্যেন্দু রায় জানিয়েছেন, “জেলায় জেলায় কর্মচারীদের সুবিধা-অসুবিধার দিকে নজর রাখতে কমিটি গঠন হবে। নতুন উদ্যোগ নিয়ে ঝাঁপানো হবে। “
কিন্তু কেন সরানো হল শুভেন্দু অধিকারীকে? সূত্রের খবর, বেশ কিছুদিন ধরেই কর্মচারী ফেডারেশনের বৈঠকে গরহাজির থাকছিলেন মন্ত্রী। ফেডারেশনের কাজে বিশেষ আগ্রহ দেখাচ্ছিলেন না। যা নিয়ে ফেডারেশনের সদস্যদের মধ্যে ক্ষোভ ছিল বলে অভিযোগ। এরপরই তাঁকে সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কিন্তু রাজনৈতিক মহল এর পিছনে অন্য উদ্দেশ্য দেখছেন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.