সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভাই সৌমেন্দুকে প্রশাসকের পদ থেকে অপসারণ প্রসঙ্গে মুখ খুললেন সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারী। জানালেন, পুরসভায় তাঁর যে দপ্তর রয়েছে সেখানে আর যাবেন না তিনি। এবিষয়ে নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) চিঠিও দেবেন তিনি।
শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর তৃণমূলের সঙ্গে অধিকারী পরিবারের দূরত্ব বেড়েছে বলেই বেশ কয়েকদিন ধরে মনে করছিল রাজনৈতিক মহলে। কারণ, তৃণমূলের কোনও কর্মসূচিতেই দেখা যায়নি ওই পরিবারের কোনও সদস্যকেই। এসবের মাঝেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ডায়মন্ড হারবার থেকে শুভেন্দুকে নিশানা করে বলেছিলেন, “যে বাড়িতেই পদ্ম ফোটাতে পারল না, তিনি বাংলায় পদ্ম ফোটাবেন কী করে।” অর্থাৎ শুভেন্দু অধিকারীর পরিবারের সকলেই তো তৃণমূলে। খড়দহ থেকে মঙ্গলবার বিকেলে পালটা দিয়ে শুভেন্দু বলেছেন, “সঠিক সময়ে বাড়িতেও পদ্ম ফুটবে। হরিশ চ্যাটার্জী স্ট্রিটেও পদ্ম ফোটাবো।” ইঙ্গিত কোন দিকে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। এদিন রাতেই কাঁথি পুরসভার প্রশাসক পদ থেকে সরানো হয় শুভেন্দু অধিকারীর ভাই দিব্যেন্দুকে। তাঁর জায়গায় দায়িত্ব পান প্রাক্তন কাউন্সিলর সিদ্ধার্থ মাইতি।
এই অপসারণ অত্যন্ত দুঃখজনক বলেই মন্তব্য করেছেন তমলুকের সাংসদ তথা সৌমেন্দুর দাদা দিব্যেন্দু অধিকারী। তাঁর কথায়, “যাকে প্রশাসক পদে বসানো হয়েছে তিনি এলাকার ভোটারই নন। প্রায় ৫০ বছর ধরে কাঁথি পুরসভার সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক।নতুন প্রশাসক শেষমেষ দায়িত্ব পেলে আর পুরসভায় যাবেন না শিশিরবাবু ও দিব্যেন্দুবাবু।” যদিও প্রতিবাদ জানানোর পাশাপাশি এদিনও নিজের রাজনৈতিক অবস্থান স্পষ্ট করেছেন দিব্যেন্দু। বলেছেন, “সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করছি। কিন্তু আমি তৃণমূলের সাংসদ। বাবা জেলা সভাপতি। দিদির প্রতি আমাদের সম্পূর্ণ আস্থা রয়েছে।” বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে এই অপসারণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.