Advertisement
Advertisement

Breaking News

অজানা রোগ

জ্বর-বমিতে মৃত্যু, দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চলে আতঙ্ক বাড়াচ্ছে অজানা রোগ

জলবাহিত সংক্রমণে রোগ বলেই অনুমান চিকিৎসকদের৷

Diarrhea terror spread in Durgapur's kamalpur area
Published by: Tiyasha Sarkar
  • Posted:August 18, 2019 6:56 pm
  • Updated:May 18, 2020 3:58 pm  

সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, দুর্গাপুর: ডেঙ্গি আতঙ্ক ছড়িয়েছিল উত্তর ২৪ পরগণা জেলাজুড়ে। এবার অজানা সংক্রমণ আতঙ্ক ছড়াচ্ছে দুর্গাপুরে। লাফিয়ে বাড়ছে জ্বর, বমিতে আক্রান্তের সংখ্যা। ইতিমধ্যেই মৃত্যু হয়েছে এক কিশোরী ও এক যুবকের। হাসপাতালে ভরতি একাধিক। কিন্তু সংক্রমণের কারণ খুঁজতে গিয়েই নাজেহাল দুর্গাপুর নগর নিগম ও মহকুমা স্বাস্থ্য দপ্তর। প্রাথমিকভাবে জল থেকেই সংক্রমণ, অর্থাৎ ডায়েরিয়া বলে মনে করা হলেও তা মানতে নারাজ মেয়র।

[আরও পড়ুন:১১ বছর ধরে নিখোঁজ, তামিল যুবককে পরিবার খুঁজে দিল হ্যাম রেডিও]

দুর্গাপুরের ১ নম্বর ওয়ার্ডের কমলপুরের ওয়াশিং প্লটের বাসিন্দা প্রায় সাড়ে পাঁচশো মানুষের অধিকাংশই মোরাম ও পাথর খাদানে কাজ করেন। গত পনেরো দিনে মৃত্যুর আতঙ্ক গ্রাস করেছে এই ওয়াশিং প্লটেই বাসিন্দাদেরই। কারণ, ইতিমধ্যেই সঙ্গীতা কুমারী ভুঁইয়া(১৫) ও কার্তিক ভুঁইয়া(৪৪) নামে দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। একই উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে ভরতি মোট ২৯ জন। তার মধ্যে ১৪ জন মহিলা ও ১৭ জন শিশু। বর্তমানে দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে ভরতি ১২ জন। অভিযোগ, এলাকায় পানীয় জলের কোনও ব্যবস্থা নেই। ৫ টি কুয়োই ভরসা সাড়ে পাঁচশো বাসিন্দার কাছে। আর সেই জল থেকেই ছড়িয়েছে সংক্রমণ। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, ডায়েরিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছেন সকলেই। আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ার ফলে নাজেহাল দুর্গাপুর নগরনিগম ও মহকুমা স্বাস্থ্য দপ্তরের মধ্যে। তবে ওই দু’জনের মৃত্যুর কারণই ভিন্ন। যদিও ডেথ সার্টিফিকেটে সেপটিসেমিয়া ও এনসেফেলাইটিসের কারণে মৃত্যু হয়েছে এমন উল্লেখ থাকলেও তা মানতে রাজি নয় স্থানীয়রা এমনকী শাসকদলও।

Advertisement

নিগমের স্বাস্থ্য আধিকারিক দেবব্রত সাহা বলেন, “এলাকার পাঁচটি কুয়োর জলের নমুনা সংগ্রহ করে তা পাঠানো হয়েছে জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তরে। এই সপ্তাহেই রিপোর্ট পাওয়া যাবে।” দেরিতে হলেও ইতিমধ্যেই এলাকায় ট্যাঙ্কারের মাধ্যমে পানীয় জল সরবরাহ করতে শুরু করেছে নিগম। প্রয়োজনীয় ওষুধও দেওয়া হচ্ছে। সোমবার নিগম ও মহকুমা স্বাস্থ্য বিভাগ যৌথভাবে এলাকায় স্বাস্থ্যশিবিরও করবে। সহকারি স্বাস্থ্য আধিকারিক স্বস্তিকা বন্দোপাধ্যায় জানান, “আমাদের টিম ইতিমধ্যেই এলাকা পরিদর্শন করেছে। সচেতন করা হয়েছে মানুষদের। ফের স্বাস্থ্যশিবির করা হবে। ওষুধও দেওয়া হবে শিবির থেকে।” তবে ডায়েরিয়াতে মৃত্যুর অভিযোগ তিনিও উড়িয়ে দিয়েছেন।

[আরও পড়ুন:রাস্তা নাকি চাষের জমি? বেহাল সড়কে ধান পুঁতে প্রতিবাদ গ্রামবাসীদের]

রবিবার তৃণমূলের প্রাক্তন কার্যকারী সভাপতি উত্তম মুখোপাধ্যায় সাবান, মিনারেল ওয়াটারের বোতল তুলে দেন বাসিন্দাদের হাতে। এলাকার পরিস্থিতি ঘুরে দেখেন। দুর্গাপুর নগর নিগমের এলাকা হওয়া সত্ত্বেও ওয়াশিং প্লটের বাসিন্দারা নিগমের জল থেকে বঞ্চিত। এ প্রসঙ্গে মেয়র দিলীপ অগস্তি জানান, “যেখানে সেখানে জায়গা দখল করে বস্তি বানিয়ে নেবে, আর সেখানেই নিগমকে পরিষেবা দিতে হবে এমনটা হয় না। জনগণের করের টাকায় জবরদখলকারীদের পরিষেবা দেওয়ার মানে করদাতাদের বঞ্চিত করা।” যদিও এলাকায় সারাদিনই রয়েছেন নিগমের স্বাস্থ্যকর্মীরা, এমনটাই দাবি মেয়র পারিষদ সদস্য (স্বাস্থ্য) রাখি তেওয়ারির।

ছবি: উদয়ন গুহরায়

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement