দীপঙ্কর মণ্ডল: স্কুলশিক্ষা দপ্তরের একটি বিশেষ সূত্র জানিয়েছে, বদলির নয়া আইনে মধুমেহকে অন্যতম কারণ হিসাবে রাখা হচ্ছে। মধুমেহ বা ডায়াবেটিস হলে ঘনঘন প্রস্রাবের বেগ আসে। বাড়ি থেকে দু’-তিন ঘণ্টা দূরে গিয়ে যাঁদের পড়াতে হয় তাঁরা এই রোগ থাকলে মহা সমস্যায় পড়েন। মধুমেহর মতো মারাত্মক অসুখ থাকলেও শিক্ষকরা বদলির বিশেষ আবেদন করতে পারেন না। রাজ্যের শিক্ষকদের বদলি আইনে এই রোগের কথা উল্লেখ নেই। কলকাতা হাই কোর্ট মধুমেহ রোগের সমস্যার কথা বিবেচনা করার নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য সরকারকে। আদালতের নির্দেশের পরও বদলির নিয়মে বদল আসেনি। স্কুলশিক্ষা দপ্তরের কোনও আধিকারিক এই বিষয়ে মন্তব্য করতে চাননি। জানা গিয়েছে, দ্রুত শিক্ষক বদলি আইন বদলের দাবি করেছে বিভিন্ন শিক্ষক সংগঠন। স্কুলশিক্ষা দপ্তরের একটি বিশেষ সূত্র জানিয়েছে, বদলির নয়া আইনে মধুমেহকে অন্যতম কারণ হিসাবে রাখা হচ্ছে।
[আরও পড়ুন: রাজনৈতিক সংঘর্ষে উত্তপ্ত পাড়ুই, পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগে বরখাস্ত এসআই]
মধুমেহ বা ডায়বেটিস হলে ঘনঘন প্রস্রাবের বেগ আসে। বাড়ি থেকে দু’-তিন ঘণ্টা দূরে গিয়ে যাঁদের পড়াতে হয় তাঁরা এই রোগ থাকলে মহাসমস্যায় পড়েন। বেশকিছু দিন আগে কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি মৌসুমি ভট্টাচার্য এক শিক্ষিকার বদলি মামলার রায়ে নির্দেশ দেন, মধুমেহর মত রোগ থাকলে বিশেষ বদলির ক্ষেত্রে সরকারের বিবেচনা করা উচিত। সেই মতো নীতি বদলের নির্দেশও দেন বিচারপতি। কিন্তু শিক্ষক বদলির খসড়া এখনও তৈরি হয়নি। শিক্ষক নেতা স্বপন মণ্ডল এ প্রসঙ্গে বলেন, “এই সরকারের সব বিষয়ে গাফিলতি। হাজার হাজার শিক্ষক-শিক্ষিকা নয়া বদলি আইনের অপেক্ষায় আছেন। শিক্ষামন্ত্রী প্রকাশ্যে শিক্ষিকাদের নিয়ে নিন্দাজনক মন্তব্য করছেন। অথচ তাঁর দপ্তর নতুন বদলি নীতি তৈরি করতে পারছে না।”
[আরও পড়ুন: সদ্যোজাতকে নদীতে ফেলে খুনের অভিযোগ, আটক বাবা-সহ ২]
নির্ভরযোগ্য এক সূত্র মারফত খবর, শিক্ষক বদলির খসড়া তৈরির কাজ চলছে। প্রথমে তা শিক্ষামন্ত্রী ও পরে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে পাঠানো হবে। নবান্ন থেকে সবুজ সংকেত এলে বিধানসভায় বিল পেশ করা হবে। শিক্ষক-শিক্ষিকা ও শিক্ষাকর্মীরাই শুধু নয়, তাঁদের বাড়িতে কারও মধুমেহ থাকলেও বিশেষ বদলির আবেদন করা যাবে। এখনকার নিয়মে বলা হয়েছে, নিজের বা বাড়ির কারও হৃদয় ঘটিত অসুখ, থ্যালাসেমিয়া, স্ত্রীরোগ বা শারীরিক প্রতিবন্ধকতা থাকলে শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং শিক্ষাকর্মীরা বিশেষ বদলির আবেদন করতে পারবেন। কোনও মহিলা শিক্ষাকর্মী বা শিক্ষিকার স্বামী মারা গেলে বা বিবাহ বিচ্ছিন্না হলেও আবেদন করা যায়। এই নিয়মটি সংষ্কার করতে চায় রাজ্য সরকার। এই বিষয়ে স্বাস্থ্য দপ্তরের কর্তাদের কাছেও পরামর্শ চেয়েছে স্কুলশিক্ষা দপ্তর। চিকিৎসকরা মধুমেহ ছাড়াও বাত, বিভিন্ন হাড়ের অসুখ, লিভারের অসুখ, চোখে অকালে ছানি পড়া, কিডনির অসুখ প্রভৃতির কথা বিবেচনার সুপারিশ করেছেন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.