শান্তনু কর, জলপাইগুড়ি: সেরা থানার বিচারে গোটা দেশের মধ্যে চতুর্থ স্থান পেল জলপাইগুড়ির ধূপগুড়ি থানা। স্বভাবতই এ খবরে উচ্ছ্বসিত ধূপগুড়ি থানার পুলিশ থেকে স্থানীয় বাসিন্দারা। যদিও সম্মানপ্রাপ্তির খবরে দ্বিধাবিভক্ত পুলিশেরই একাংশ। কেন্দ্রীয় সংস্থার এই সম্মান প্রদানের পিছনে রাজনৈতিক গন্ধও পাচ্ছেন অনেকেই। যেহেতু ধূপগুড়িতে বর্তমানে বিজেপি অনেকটাই শক্তি বৃদ্ধি ঘটিয়েছে, তাই এই পুরস্কার দেওয়া হল, বলছেন কেউ কেউ। যদিও তৃণমূলের জলপাইগুড়ি জেলা সভাপতি সৌরভ চক্রবর্তীর বক্তব্য, এই খবরে আমি খুশি। কাজের দিক থেকে ধূপগুড়ি থানা বরাবরই এগিয়ে। যোগ্য থানা যোগ্য সন্মান পাচ্ছে বলে মনে করেন তিনি। এই পুরস্কার প্রাপ্তি নিয়ে পুলিশ সুপার অমিতাভ মাইতি বলেন, “ভাল খবর। তবে যা বলার ডিজি বলবেন।”
জানা গিয়েছে, শিরোপা প্রদানের আগে সারা দেশের থানাগুলির মধ্যে পরিকাঠামো, জনপরিষেবা, পুলিশ-নাগরিক সম্পর্ক, সামাজিক কাজে পুলিশের অংশগ্রহণ, অপরাধ কমানো-সহ একাধিক মাপকাঠির বিচার করা হয়েছিল। সেই বিচারেই চতুর্থ স্থান পেয়েছে ধূপগুড়ি। এ রাজ্য থেকে শহরভিত্তিক থানার ক্যাটাগরিতে কলকাতার বিধাননগর কমিশনারেটের নিউটাউন থানা এবং গ্রামভিত্তিক থানার বিচারে জায়গা করে নিয়েছিল ধূপগুড়ি থানা। গত বছর নভেম্বর মাসের ৯ তারিখ ধূপগুড়ি থানায় এসে সব দিক খতিয়ে দেখে যান নির্বাচক মণ্ডলীর সদস্যরা। পুরো বিষয়টির তত্ত্বাবধান করেছে ‘ব্যুরো অফ পুলিশ রিসার্চ অ্যান্ড ডেভলপমেন্ট’ নামক কেন্দ্রীয় সংস্থা।
কেন্দ্রীয়ভাবে যে পরিসংখ্যান প্রকাশিত হয়েছে, তাতে দেশের মধ্যে সেরা থানা নির্বাচিত হয়েছে কোয়েম্বাটোরের আরএস পুরম থানা। দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে আছে হায়দ্রাবাদের পাঞ্জাগুট্টা থানা ও লখনউ-এর গুডাম্বা থানা। চতুর্থ স্থানে রয়েছে ধূপগুড়ি থানার নাম। এই খবরে উচ্ছ্বসিত ধূপগুড়ি থানায় কর্তব্যরত পুলিশ কর্মীরা। আইসি সঞ্জয় দত্ত জানান, এখনও সরকারিভাবে কিছু জানানো হয়নি। তবে এমনটা হয়ে থাকলে অত্যন্ত আনন্দ এবং গর্বের। এতে কাজের উৎসাহ আরও বাড়বে বলে মনে করেন তিনি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.