শান্তনু কর, জলপাইগুড়ি: রাজ্যের একটিমাত্র বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন (By-Election)। তবে সেটাই নির্বাচন কমিশনের কাছে যথেষ্ট চ্যালেঞ্জের ছিল। ধূপগুড়ির (Dhupguri) বিধানসভা অঞ্চলের অন্তর্বর্তী জঙ্গল এলাকায় ভোট চলাকালীন বন্যপ্রাণীদের হামলা যাতে না হয়, সেই জন্য বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে জেলা প্রশাসন। বনদপ্তরের (Forest Department) সঙ্গে সমন্বয়ের মধ্যে দিয়ে ভোটকেন্দ্র, ভোটকর্মী ও ভোটারদের জন্য মোতায়েন অতিরিক্ত বনকর্মী। তবে মঙ্গলবার সকালে ধূপগুড়িতে ভোটগ্রহণ পর্ব শুরু হতেই দেখা গেল, নির্বিঘ্নে ভোট করানোর এত উদ্যোগ প্রাথমিকভাবে সফল। বানারহাট (Banarhat)জঙ্গল এলাকার ভোটকেন্দ্রগুলিতে সকাল থেকেই ভোটারদের দীর্ঘ লাইন। অর্থাৎ হাতি, চিতাবাঘদের ভয় দূরে সরিয়ে মানুষ শামিল হয়েছেন নিজেদের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করতে। আর এই দৃশ্য মুখে প্রশাসনিক কর্তাদের হাসি ফুটিয়েছে।
জঙ্গল (Forest) এলাকার মধ্যে বেশ কয়েকটি ভোটগ্রহণ কেন্দ্র রয়েছে। রয়েছে হাতিদের করিডরও। সোমবারই বনদপ্তরের কর্মীরা এসকর্ট করে ভোটকর্মীদের সেসব কেন্দ্রে পৌঁছে দিয়েছেন। নিজে দাঁড়িয়ে থেকে তা সরেজমিনে দেখেছেন জেলাশাসক মৌমিতা গোদারা। আচমকা বন্যপ্রাণ হামলায় যাতে ভোটগ্রহণ ব্যাহত না হয়, তার জন্য নির্বাচন কমিশনের (Election Commission) সঙ্গে পরামর্শ করে বনদপ্তরের কর্মীদের কাজে লাগিয়েছে জলপাইগুড়ি জেলা প্রশাসন। রাত পর্যন্ত ভোটগ্রহণ কেন্দ্রগুলিতে বাড়তি নজরদারি ছিল, আশেপাশে যাতে হাতির কিংবা অন্য কোনও হিংস্র প্রাণী হামলা চালাতে না পারে।
সকাল ৭টা থেকে ভোটগ্রহণের নির্ধারিত সময় থাকলেও ভোটারদের দেখা মেলে প্রায় ৮টা নাগাদ। রাতভর কোনও বন্যপ্রাণী হামলার খবর না থাকায় খানিকটা নিশ্চিন্ত হয়েই জঙ্গল এলাকাগুলির ভোটকেন্দ্রে ভিড় করেছেন ভোটাররা। লাইনে মহিলাদের বেশি দেখা গেল। অর্থাৎ সকাল সকাল নিজেদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতেই আগ্রহী তাঁরা। দু, একটি কেন্দ্রে অবশ্য ইভিএম বিভ্রাটের কারণে ঘণ্টা খানেক দেরিতে শুরু হয়েছে ভোটগ্রহণ। প্রতিটি বুথে পর্যাপ্ত নিরাপত্তারক্ষী। মোতায়েন মোট ৩০ কোম্পানি বাহিনী। ধূপগুড়ি উপনির্বাচনে ভোট দিচ্ছেন প্রায় ২ লক্ষ ৬৯ হাজার জন। মূলত ত্রিমুখী লড়াই এখানে – তৃণমূল, বিজেপি এবং বাম-কংগ্রেস জোট।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.