Advertisement
Advertisement

Breaking News

তারা মায়ের আবির্ভাব দিবস যেন ভক্তদের সব পাওয়ার দিন

মাকে স্পর্শ করে পুজো দেওয়ার সুযোগ।

Devotees throng Tarapith to offer prayer on auspicious day
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:October 4, 2017 3:16 pm
  • Updated:September 27, 2019 4:46 pm  

নন্দন দত্ত, বীরভূম: মা তারার আবির্ভাব দিবস বলে কথা। দিনভর ভক্তদের আনাগোনা। তাদের কৌতুহল আর মনোবাসনা পূরণ করতে গিয়ে সারাদিন মায়ের ঠিকমতো ভোগ জোটে না তারাপীঠে। বুধবারও ভোরবেলা গর্ভগৃহ থেকে বিরাম মন্দিরে সারাদিন ভক্তদের দর্শন দেন মা তারা। সন্ধ্যায় মন্দিরে ফিরে ভোগ, আরতি হয় তাঁর। প্রাচীন ঐতিহ্য মেনে মায়ের দর্শনের জন্য বুধবার জনজোয়ারে বীরভূমের এই সিদ্ধপীঠ।

MA-TARA.jpg-2

Advertisement

[শারদ কার্নিভালে সেরা ট্যাবলোর পুরস্কার পাচ্ছে শহরের এই পুজোগুলি]

কথিত আছে শারদীয়ার শুক্লা চর্তুদশীতেই বশিষ্ঠ মুনি সাধনার মাধ্যমে মা তারাকে দেখা যান। এটাই বিশ্বাস ভক্তদের। জানা যায়, স্বপ্নে দেখা মাতৃমূর্তি দীর্ঘকাল মাটির নিচে ছিল। বণিক জয়দত্ত সওদাগর সেই মূর্তি তুলে মাকে মূল মন্দিরে প্রতিষ্ঠা করেন। তাই মূর্তি প্রতিষ্ঠার এই দিনটিকেই মায়ের আবির্ভাব দিবস হিসাবে ধরে নিয়ে উৎসব পালিত হয়। মন্দির কমিটির সভাপতি তারাময় মুখোপাধ্যায় বলেন, প্রাচীন ঐতিহ্য মেনেই চতুর্দশীর দিন ভোরে প্রতি বছর মাকে স্নান করিয়ে পুজোর্চনা করা হয়। বছরের এই একটি দিন মায়ের কোনও ভোগ হয় না। তাই সেবাইতরাও উপবাসে থাকেন। এদিন দুবার মাকে স্নান করানো হয়। সারা দিন ধরে চলে পুজো পাঠ। রাতে মায়ের কাছে ফলের ডালি দিয়ে ভোগ নিবেদন করা হয়। তারপর সেবাইতরাও অন্নগ্রহণ করেন।

[লক্ষ্মীপুজোয় বাজার আগুন, মাথায় হাত মধ্যবিত্তের]

এদিন পূণ্যার্থীরা ভক্তি ভরে মাকে স্পর্শ করে পুজো দিতে পারেন। তাই এই সুযোগ হেলায় হারাতে চান না তারা। তারা মায়ের আবির্ভাব দিবসে কলকাতা থেকে সপরিবারে এসেছেন বিশ্বজিৎ রায়, কালনার প্রীতম চট্টোপাধ্যায়রা। প্রীতমবাবু বলেন, প্রতি বছরের মতো এবারও পুজো দিতে এসেছি তারাপীঠে। শুধু মাকে স্পর্শে করার টানেই এখানে আসা। বিশ্বজিৎবাবুর কথায়, বছর খানেক আগে তারাপীঠে এসেছিলাম। সেই থেকে মা তারার প্রতি অনুভূতি বোধ করি। তাঁর টানেই আবির্ভাব দিবসে চলে এলাম। তবে আগের মতো আর চতুর্দশীতে মেলা বসে না তারাপীঠে। কারণ অধিকাংশ জায়গায় স্থায়ী দোকান ঘর, লজ তৈরি হয়েছে। একসময় শ্মশানে নাগরদোলা বসত। তারাপীঠ সংলগ্ন আটলা গ্রামের বাসিন্দা শুভময় চট্টোপাধ্যায় বলেন, প্রথম দিকে হেঁটে, পরে গরুর গাড়ি চড়ে এসেও মেলা দেখার অভিজ্ঞতা রয়েছে। এখন তারাপীঠে ব্যক্তিগত চারচাকা গাড়ির দাপটে হেঁটে যাওয়াই শক্ত।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement