রাজা দাস, বালুরঘাট: সামনেই কালীপুজো। দক্ষিণ দিনাজপুরের (Dakshin Dinajpur) কুশমন্ডির আমিনপুরে মা মাটিয়া কালীর পুজোর প্রস্তুতি শুরু। যদিও এখানে দেবীর কোনও মন্দির নেই, প্রাচীন রীতি মেনে আজও মাটির থানেই হয় পুজো।
অবিভক্ত ভারতে জমিদার যোগেন্দ্রনারায়ণ রায়চৌধুরীর উদ্যোগে শুরু হয়েছিল এই পুজো। সেই সময় থেকেই মায়ের পুজো হয় মাটিতে। কথিত আছে, স্বপ্নাদেশের কারণেই দেবীর কোনও মন্দির করা হয়নি। দেবী মাটিতে থাকার কারণে জমিদার বংশের সকলেই ঘুমোতেন মাটিতে। তবে সেই সময় রটন্তী কালী নামে পূজিতা হতেন দেবী। পরবর্তীতে মাটিতে থাকার কারণে রটন্তী কালী এলাকাবাসীর কাছে পরিচিত ‘মাটিয়া কালী’ নামে।
এখনও এলাকার সকলেই যে কোনও শুভ কাজ শুরু করার আগে মাটিয়া কালীর পুজো দেন। মনোবাঞ্ছা পূরণের জন্য কালীর থানের মাটি তুলে খাওয়ার প্রচলনও রয়েছে। দীপান্বিতা অমাবস্যায় পুজোর সময় দূরদূরান্ত থেকে ভক্তের সমাগম হয় ওই গ্রামে। চলে মেলা।
মাটিয়া কালীর থানের ঈশান কোণে রয়েছে ভগ্নদশার একটি ঘর। যেখানে এক সময়ে মায়ের সাজগোজের গয়না রাখা হত। তার পাশেই রয়েছে পঞ্চমুখী শিব। যদিও মায়ের মন্দির না করলেও পঞ্চমুখী শিবের জন্য করা হয়েছে মন্দির। অনেকেই জানেন না কুশমন্ডি ব্লকের আমিনপুরে রয়েছে পাঁচমাথা শিব মন্দির। লোকমুখে প্রচলিত আছে, এই পাঁচ মাথা শিব মন্দিরের ইতিহাস ২১৭ বছরেরও বেশি পুরনো। এলাকার মানুষ তো বটেই, দূর-দুরান্ত থেকে দর্শনার্থীরা যান আমিনপুরের শিবমন্দির ও মা মাটিয়া কালীর দর্শন করতে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.