Advertisement
Advertisement
দশহরা

দশহরার পুণ্যার্জনে এসে আমিষে মত্ত ভক্তকূল, মনক্ষুণ্ণ পূজারীরা

নৌকোয় বাজছে হিন্দি গানও।

Devotees go non-veg, priests furious at West Bengal's Nadia
Published by: Bishakha Pal
  • Posted:June 12, 2019 8:26 pm
  • Updated:June 12, 2019 9:20 pm  

পলাশ পাত্র, তেহট্ট: মা গঙ্গার মাহাত্ম্যকে স্মরণ করতে সারা রাত নৌকায় পাড়ি দেওয়ার মাঝে আমিষ ভোজনে মত্ত হল ভক্তরা।পুণ্যের তাগিদ মানুষের বহুদিনের। কালে কালে তা হয়ে আসছে। গঙ্গা নদীর নাম হিন্দুদের কাছে বিশেষ পবিত্রতা বহন করে।গঙ্গাপুজোর দিনটিও পবিত্র দিন। আলাদা মাহাত্ম্য রয়েছে। কিন্তু এদিন ভক্তদের আমিষ খেতে দেখে কিছুটা হলেও মনক্ষুণ্ণ হলেন পুরোহিতরা।

বুধবার নবদ্বীপে নৌকার ওপর হোম-যজ্ঞ, ফুল, ফলের রেকাবি সাজিয়ে মা গঙ্গার আরাধনা করা হয়। সেই পুজোর আয়োজন সম্পূর্ণ হতে ধূপ, ধুনো জ্বালিয়ে পুরোহিত নৌকার ওপর দেবী গঙ্গার নামে মন্ত্রোচ্চারণ করলেন। পুরোহিত বলেন, নদীতে যতই নোংরা যাক গঙ্গা তবু পবিত্র। আমাদের হিন্দু ধর্মের মানুষজন সুখ সমৃদ্ধির জন্য এই পুজো করেন। পুজোতে দুধ, মিষ্টি, ফল, ফুল লাগে। এছাড়া দেবীর শাড়ি দরকার হয়। কয়েক ঘণ্টা ধরে পুজো চলার মাঝে সারা রাত ধরে জেগে নৌকায় হই হুল্লোড় করা কিছুটা ক্লান্ত ভক্তরা অনেকেই লুচি, ভাত, ডাল, তরকারি খেয়ে নেয়।

Advertisement

[ আরও পড়ুন: কৃতীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে শিক্ষক বদলি নিয়ে স্মারকলিপি জেনকিনসের পড়ুয়াদের ]

ভক্তরা গঙ্গা নামক পবিত্রতার মাহাত্ম্যকে ছুঁতে কৃষ্ণনগর থেকে নৌকায় সারা রাত জেগে এসেছেন। গাঁটের কড়িও তার জন্য খসাতে হয়েছে। নৌকার সর্বনিম্ন ভাড়া হাজার আষ্টেক। তার উপর প্যান্ডেল, রং-বেরঙের আলো। কোন নৌকায় দশ-পনেরো জন থেকে একটু বড় নৌকায় কুড়ি জন চেপেও ভক্তরা নবদ্বীপে এসেছেন। প্রায় পনেরোটা নৌকায় কৃষ্ণনগরের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া জলঙ্গি বা স্থানীয় নাম খোড়ে পেরিয়ে নবদ্বীপ গঙ্গায় এসেছেন ভক্তরা।

নৌকায় কি নেই! একদিকে মা গঙ্গার প্রতিমা রাখা। অন্যদিকে গ্যাস, রান্নার বড় কড়াই, খুন্তি, হাতা, ঝুড়ি। মাঝে গান গাইছেন বাউল শিল্পী, কোথাও বা ধর্মীয় গান। সকালে আবার হিন্দি গানও বেজেছে। সারা রাত রান্না করে খাওয়া হয়েছে খাসির মাংস, ভাত, ডাল, তরকারি। ভোর হতেই করা হয়েছে খিচুড়ি, পায়েসের মতো সুস্বাদু খাওয়ার উপাদান। রাত জাগার পর ভক্তরা স্নান সেরে সকালে পুজো শেষ হতেই বড়াল ঘাটের ধারে থাকা অসংখ্য মানুষ ও গঙ্গাপুজো দিতে আসা পুণ্যার্থীদের মধ্যে খিচুড়ি, পায়েস প্রসাদ বিতরণ করেন।

নবদ্বীপের জন্মস্থানের (চৈতন্যর যেখানে জন্ম) অধ্যক্ষ অদ্বৈত দাস বলেন, বৈষ্ণব মতে গঙ্গা পুজো হয় ফুল, ফল, মিষ্টির মাধ্যমে। এখানে সম্পূর্ণটাই নিরামিষ। কিন্তু এত কিছু পরও খটকা থাকছে মাহাত্ম্যকে আঁকড়ে পুণ্য অর্জন করতে, সমৃদ্ধি পেতে ভক্তরা আমিষে মত্ত হচ্ছেন দেখে।

[ আরও পড়ুন: গ্যাস পাইপে বিস্ফোরণ, মৃত কেতুগ্রামের আইসক্রিম কারখানার মালিক ]

২০২৪ এর পূজা সংক্রান্ত সমস্ত খবর জানতে চোখ রাখুন আমাদের দেবীপক্ষ -এর পাতায়।

চোখ রাখুন
Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement