বিপ্লবচন্দ্র দত্ত ,কৃষ্ণনগর: ট্রেন যাত্রার জন্য টিকিট কেটেছিলেন। সেই মতো ট্রেনেও উঠেছিলেন। কিন্তু কিছুক্ষণ পরেই ট্রেন থেকে নামিয়ে দেওয়া হয় গনেশজি-কে। এবার ট্রেনে হেনস্তার শিকার খোদ ‘ঈশ্বর’। ব্যাপারটা কী?
সামনেই গণেশ চতুর্থী। আর সেই কারণে অর্ডার মাফিক শান্তিপুরের মৃৎশিল্পী সৌরাজ বিশ্বাস তৈরি করেছিলেন তিন ফুট উচ্চতার একটি গণেশ মূর্তি। সেই মূর্তিটি শনিবারই কলকাতায় পৌঁছে দেওয়ারর কথা ছিল। সেই মত সৌরাজ তাঁর কর্মচারী তাপস পালকে দিয়ে মূর্তিটি পাঠাচ্ছিলেন। তাপস পাল এবং মূর্তিটির জন্যও দুটি বৈধ টিকিট কেটেছিলেন। শনিবার বিকাল ৩টে ৪০ মিনিটের ডাউন শান্তিপুর- শিয়ালদহ লোকাল ট্রেনের ভেন্ডার কম্পার্টমেন্টের দ্বিতীয় বগিতে তাপস মূর্তিটি নিয়ে উঠেছিলেন। অথচ মূর্তি নিয়ে ট্রেনে ওঠার জন্য মৃৎশিল্পীর ওই কারিগরকে মানসিক নির্যাতন শুরু করে ভেন্ডার কম্পার্টমেন্টের কয়েকজন ছানা ব্যবসায়ী, এমনই অভিযোগ।
মূর্তি নিয়ে কিছুতেই যাওয়া যাবে না, চাপ দিতে শুরু করেন ওই ব্যবসায়ীরা। তাঁদের সঙ্গে বাগ-বিতণ্ডা শুরু হয় তাপস পালের। অভিযোগ, শান্তিপুরের পরের স্টেশন বাতনা কৃত্তিবাস স্টেশনে তাপসকে মূর্তি-সহ জোর করে নামিয়ে দেওয়া হয়। জোর করে নামিয়ে দেওয়ার জন্য মূর্তিটির কিছুটা অংশে ক্ষতি হয়েছে। ৩-৪ জন ছানা ব্যবসায়ী সেই ঘটনার সঙ্গে জড়িত বলে দাবি মৃৎশিল্পীর সহকারীর।
এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে নদিয়া জেলা অনুন্নত কুম্ভকার সমিতি। বৈধ টিকিট থাকা সত্ত্বেও কেন গণেশ মূর্তিকে নামিয়ে দেওয়া হবে,তার প্রতিবাদ জানিয়ে ওই সমিতির পক্ষ থেকে শান্তিপুর স্টেশনে জিআরপি অফিসে লিখিত অভিযোগ জানানো হয়েছে। ওই সমিতির পক্ষে মুন্না পাল জানিয়েছেন,”বৈধ টিকিট থাকা সত্ত্বেও কেন এই ধরনের ঘটনা ঘটানো হবে? আমরা দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছি।” শেষপর্যন্ত অবশ্য পাঁচটা দশের ডাউন শান্তিপুর লোকালে আরপিএফ এবং হকার ইউনিয়নের সহযোগিতায় কলকাতার উদ্দেশে রওনা দেন সিদ্ধিদাতা গণেশ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.