স্টাফ রিপোর্টার: আশঙ্কাটা সত্যিই হল৷ পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করা নিম্নচাপটি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে৷ আগামী ২৪ ঘণ্টায় তা ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনার কথা শুনিয়েছে আবহাওয়া দফতর৷ তাহলে কি নবমীর সন্ধ্যার মতো অঝোর ধারায় ভাসতে চলেছে আলোর উৎসবও? না৷ অপাতত তেমন শঙ্কার কথা এখনই শোনাচ্ছেন না আবহাওয়াবিদরা৷ কারণ এখনও পর্যন্ত গভীর নিম্নচাপটির যা অবস্থান তাতে মায়ানমার উপকূলেই তা আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানা গিয়েছে৷ তবে নিম্নচাপটি অন্ধ্র উপকূলের দিকে এলে মেঘলা থাকবে কলকাতার আকাশ৷
শুক্রবার পর্যন্ত আবহাওয়া দফতরের আশঙ্কা ছিল, গভীর নিম্নচাপটি উত্তর-পূর্ব দিকে সরে মায়ানমার উপকূলের দিকে পা বাড়াবে৷ কিন্তু তা মায়ানমারে আছড়ে পড়বে না৷ পরিবর্তে নিম্নচাপটি অভিমুখ বদল করে ফিরে আসতে পারে বাংলাদেশ উপকূলের দিকে৷ এমনটা ঘটলে নিশ্চিতভাবে কালীপুজোর সময় মেঘলা হয়ে যাবে বাংলার আকাশ৷ বৃষ্টি হবে৷ কিন্তু এখনও পর্যন্ত পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর এবং সংলগ্ন দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে গভীর নিম্নচাপটি৷ শনিবার নিম্নচাপটি কলকাতা থেকে ১০০০ কিলোমিটার দূরে রয়েছে বলে জানা গিয়েছে৷
দুর্গাপুজোর পরই রাজ্য থেকে বর্ষার বিদায় নিয়েছে বলে জানিয়েছিল হাওয়া অফিস৷ আর বর্ষা বিদায় নিতেই উষ্ণতার পারদও বেশ খানিকটা নেমে গিয়েছে দক্ষিণবঙ্গে৷ তেমনটা টেরও পাওয়া যাচ্ছে রাতে ও ভোরের দিকে৷ আবহাওয়া দফতরও জানিয়েছে, স্বাভাবিক নিয়ম মেনেই এবার রাজ্যে প্রবেশ করতে চলেছে শীত৷ নভেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহ থেকেই জাঁকিয়ে শীত অনুভব করতে চলেছে দক্ষিণবঙ্গবাসী৷ যদি না গত বছরের মতো কাঁটা হয়ে দাঁড়ায় এল-নিনো৷ উত্তরবঙ্গে এখনই ঠান্ডার পরশ মিলছে৷ দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতেও হিমেল আমেজ মিলতে শুরু করেছে৷ তবে দিন ও রাতের তাপমাত্রার হেরফেরে সর্দি-জ্বরে কাবু অনেকেই৷ শনিবার সকালে শহরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস৷ সর্বনিম্ন ২৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.