স্টাফ রিপোর্টার : ‘পৌষের শীত তুষের গায়, মাঘের শীতে বাঘ পালায়’।
মাঘের শীতে বাঘ পালাবে কি না সময় বলবে। কিন্তু কুয়াশার চাদরে মুখ ঢাকল পৌষের শীত। বিপর্যস্ত ট্রেন ও বিমান চলাচল। বহু ট্রেন দেরিতে চলেছে। যানবাহনের গতিও খুব কম ছিল।
[বড়দিনে বাঙালির শীতভাগ্য কেমন? জানালেন হাওয়া অফিসের কর্তারা]
দিন দশেক আগে নিম্নচাপের ফাঁসে কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বাড়তে বাড়তে একুশের ঘরে পৌঁছেছিল। এবার শীতের পথে বাধা হয়ে দাঁড়াল পশ্চিমি ঝঞ্ঝা। উত্তুরে হাওয়ার পথে পাঁচিল তো তুললই, সাগর থেকে জলীয় বাষ্প ঢুকিয়ে কুয়াশার চাদরে মুড়ে দিল গোটা দক্ষিণবঙ্গকে। উত্তরবঙ্গেও শীতের কামড় নেই। বাংলাদেশে ঘনীভূত হওয়া ঘূর্ণাবর্ত মেঘ ঢুকিয়ে দিয়েছে উত্তরবঙ্গের আকাশে। তাতেই চড়েছে পারদ। বাগডোগরা, জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, মালদহ-সহ সর্বত্রই তাপমাত্রা ১৪ ডিগ্রির আশেপাশে ঘোরাঘুরি করছে। দক্ষিণবঙ্গের সর্বনিম্ন তাপমাত্রাও স্বাভাবিকের থেকে অনেক বেশি।
[দশম সন্তানকে খুন করে দেহ গায়েবের চেষ্টা, হাতেনাতে ধৃত বাবা]
মঙ্গলবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৫.৯ ডিগ্রি। স্বাভাবিকের থেকে ২ ডিগ্রি বেশি। ঝরা পাতায় শিশিরের অভিসার ছিল, কুয়াশার চাদরে মুখ ঢেকেছিল শহর। কিন্তু শীতের সেই কামড় ছিল না। আবহবিদরা জানিয়েছেন, ২৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৬ ডিগ্রির আশপাশে থাকবে। সকালের দিকে থাকবে হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশা। তবে বড়দিন থেকে ফের পারদ নিম্নমুখী হতে পারে।
[উত্তরবঙ্গ থেকে বন্যপ্রাণীর দেহাংশ ‘পাচার’ চিনে! শিলিগুড়িতে ধৃত ৩ পাচারকারী]
আসলে এবারও শীতের সর্বনাশ করেছে সেই পশ্চিমি ঝঞ্ঝাই। সোমবার থেকে জম্মু-কাশ্মীরে দাপট দেখাচ্ছে ঝঞ্ঝা। এর জেরেই উত্তর ভারতে বিপরীত ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হয়েছে। যা ঠান্ডা হাওয়ার পরিবর্তে সাগর থেকে জোলো হাওয়া ঢুকিয়ে দিচ্ছে। সেই জোলো বাতাস হিমেল হাওয়ার সংস্পর্শে এসে কুয়াশার ঘন চাদর তৈরি করছে। অন্যদিকে, বাংলাদেশের ঘূর্ণাবর্তে কারণে মেঘলা উত্তরবঙ্গের আকাশও।
[শীতের রাতে হাঁড়িয়ার টানে হাজির ‘জগাই-মাধাই’, নাজেহাল গ্রামবাসী]
অথচ এই মরশুমে বেশ ভালভাবেই ইনিংস শুরু করেছিল শীত। ৩০ নভেম্বর কলকাতার পারদ নেমেছিল ১৪.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। গত রবিবার নিম্নচাপের ফাঁড়া কাটিয়ে ফর্মে ফিরেছিল শীত। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা নেমেছিল ১৪.৫ ডিগ্রিতে। ভাবা গিয়েছিল, এবার হয়তো ‘পৌষের শীত তুষের গায়, মাঘের শীতে বাঘ পালায়’ প্রবাদবাক্যটি সুবিচার পাবে! কিন্তু, কোথায় কী? পশ্চিমি ঝঞ্ঝা সব হিসেব উলটে দিল। এখন শীতের জন্য সান্তা বুড়োর দিকেই তাকিয়ে বাংলা।
[কন্যাশ্রীদের স্বনির্ভরতায় নয়া উদ্যোগ, বড়দিনে বাজারে আসছে ‘ES-কেক’]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.