পলাশ পাত্র, তেহট্ট: জেলার সীমান্ত এলাকায় বেড়েই চলেছে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা। খারাপ থেকে আরও খারাপ হচ্ছে পরিস্থিতি৷ যা দেখতে শনিবার তড়িঘড়ি নদিয়ার সরকারি হাসপাতাল ও বেসরকারি নার্সিংহোমগুলোতে সারপ্রাইজ ভিজিট করলেন জেলার স্বাস্থ্য কর্তারা। একইসঙ্গে নিয়ে চিকিৎসক, নার্স-সহ হাসপাতাল কর্মীদের ডেঙ্গু নিয়ে স্বাস্থ্য দপ্তরের গাইডলাইনও বুঝিয়ে দিলেন তাঁরা। সাধারণ মানুষের উদ্বেগ কমাতে আশ্বাসও দিলেন স্বাস্থ্যকর্তা ও জেলা প্রশাসনের আধিকারিকরা৷
[ আরও পড়ুন: রূপশ্রী প্রকল্পের টাকা পেতে স্বামীকেই ফের বিয়ের ছক, ফাঁস বিজেপি নেতার স্ত্রীর কীর্তি ]
সরকারি হিসাব বলছে, এই মুহূর্তে নদিয়া জেলায় ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা একশো ছাড়িয়ে গিয়েছে৷ বেসরকারি মতে, সংখ্যাটা আরও বেশি। ৩১ জুলাই পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৫৬ জন। ১ আগস্ট পর্যন্ত সেই সংখ্যা বেসরকারি নার্সিংহোম ও হাসপাতাল মিলিয়ে দাঁড়িয়েছে একশোয়। দেখা যাচ্ছে, সীমান্তবর্তী এলাকা হাঁসখালি, চাপড়া, করিমপুর ব্লকেই এখনও পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন যথাক্রমে ১২, ৪, ১ জন। এছাড়া নাকাশিপাড়া, কালীগঞ্জ, নবদ্বীপ, কৃষ্ণনগর ১, শান্তিপুর, রাণাঘাট ১, রাণাঘাট ২, চাকদহ, কল্যাণী ও করিমপুর ২ ব্লকে ডেঙ্গুতে কাহিল হয়ে পড়েছেন যথাক্রমে ১, ২, ৯, ৮, ১,৩, ৩, ৬, ৫, ২ জন। সবচেয়ে বেশি ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা হরিণঘাটা ব্লকে। সেখানে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ২৮ জন। এছাড়া পুর এলাকাতেও ডেঙ্গির প্রভাব পড়েছে। সূত্রের খবর, হরিণঘাটা, কৃষ্ণনগর, কল্যাণী, গয়েশপুর, চাকদহ, নবদ্বীপ পুরসভাতে যথাক্রমে ২, ২, ২, ১, ৪, ৩ জন ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছে।
[ আরও পড়ুন: রাজ্যে প্রথম ডেঙ্গুর বলি, হাবড়ায় মৃত্যু ১ প্রাথমিক শিক্ষকের ]
জানা গিয়েছে, শনিবার বিভিন্ন হাসপাতাল ও নার্সিংহোমে সারপ্রাইজ ভিজিট করেন কৃষ্ণনগরের মহকুমা শাসক সৌমেন দত্ত, এসিএমওএইচ অরুণ কোলে এবং কৃষ্ণনগর পুরসভার স্বাস্থ্য দপ্তরের এক্সিকিউটিভ অফিসার দেবাশিস চাকি। হাসপাতালের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন তাঁরা৷ রোগীদের জন্য পর্যাপ্ত মশারি রয়েছে কিনা, রান্নাঘর স্বচ্ছ রয়েছে কিনা, যথাযথ ওষুধপত্র রয়েছে কিনা ঘুরে দেখের তাঁরা৷ অ্যালাইজা রিপোর্ট কত ঘন্টার মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে, ব্ল্যাড ব্যাংকের কী অবস্থা, তা দেখেন তাঁরা। কৃষ্ণনগরের বেসরকারি নার্সিংহোমে গিয়েও অবস্থা খতিয়ে দেখেন আধিকারিকরা৷ হুঁশিয়ারির সুরে সাফ জানিয়ে দেন, কোনও গাফিলতি বরদাস্ত করা হবে না৷ কৃষ্ণনগর সদর হাসপাতাল, শক্তিনগর জেলা হাসপাতাল এবং একটি নার্সিংহোমেও ভিজিট করেন তাঁরা। ডেঙ্গু আক্রান্ত কয়েকজন গৃহবধূ ও যুবকদের সঙ্গেও কথা বলেন তাঁরা৷ কোনও অসুবিধা হচ্ছে কিনা তাও শোনেন৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.