Advertisement
Advertisement

Breaking News

ডেঙ্গু

আমফানের জঞ্জাল মশার আঁতুরঘর, ডেঙ্গুর আতঙ্কে কাঁপছে পঞ্চায়েত-পুর এলাকার বাসিন্দারা

করোনা আবহে ডেঙ্গু মোকাবিলার নীল নকশা ঠাঁই পেয়েছে ঠান্ডা ঘরে।

Dengue is a new threat for local people in Panchayet area
Published by: Paramita Paul
  • Posted:June 14, 2020 10:06 pm
  • Updated:June 14, 2020 10:06 pm  

শুভঙ্কর বসু: এমনিতেই করোনার থাবায় ত্রস্ত জনজীবন। তার উপর আমফানের জঞ্জালে রাজ্যের গ্রামগঞ্জগুলিতে বাড়ছে ডেঙ্গুর আতঙ্ক। অথচ ব্লক কিংবা পঞ্চায়েত স্তরে এখনও কোনো প্রস্তুতি চোখে পড়ছে না বলে অভিযোগ সাধারণ মানুষের।

জানা গিয়েছে, আমফানের ফলে জেলাগুলিতে যে সংখ্যক গাছ উপরে পড়েছিল তার ৬০ শতাংশ এখনও ওই অবস্থাতেই রয়েছে। সরকারিস্তরে সেগুলি সরিয়ে ফেলার কোনও কোনও উদ্যোগ এখনও নেওয়া হয়নি। যেটুকু কাজ হয়েছে তাও পাড়ার ছেলেদের উদ্যোগে। ফলে গ্রামাঞ্চলের একাধিক জায়গায় ড্রেন ও জলাশয়গুলি কার্যত অবরুদ্ধ হয়ে রয়েছে। আর দিন কয়েকের বৃষ্টির জমা জলে সেখানে নিশ্চিন্তে বেড়ে উঠছে মারণ মশার দল। শুধু পঞ্চায়েত এলাকাগুলি নয়, একাধিক পুরসভা এলাকাতেও একই হাল। ব্লিচিং ও মশা নিরোধক ওষুধ ছাড়ানোর কাজ তো দুরস্ত। ড্রেনগুলি নিয়মিত পরিষ্কার হচ্ছে না। জঞ্জাল স্তুপাকৃতি হয়ে রয়েছে। রাজ্যের একাধিক পুরসভাই এখন প্রশাসকের নিয়ন্ত্রণে তাসত্ত্বেও অভিযোগ জানালেও কাজ হচ্ছে না। যার ফলে সাধারণ মানুষের মধ্যে ক্ষোভ বাড়ছে।

Advertisement

[আরও পড়ুন : করোনায় মৃত সন্দেহে সৎকারে বাধা, বাড়ির ছাদে বাবার দেহ দাহর চেষ্টা ছেলের]

গতবছর কলকাতা, দুই ২৪ পরগনা, হাওড়া, হুগলি, আলিপুরদুয়ারে কার্যত মহামারির আকার নিয়েছিল ডেঙ্গু। রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, গতবছর সব মিলিয়ে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৪৭ হাজার। সেখানে থেকে শিক্ষা নিয়ে এবছর পলিসি তৈরি করে ফেব্রুয়ারির শুরু থেকেই ডেঙ্গু মোকাবিলায় কাজ শুরু করে দেওয়ার কথা ছিল রাজ্য স্বাস্থ্য দফরের। কিন্তু করোনার দাপটে আপাতত সেসব অথই জলে। এ নিয়ে সরকারি বিজ্ঞাপন ছাড়া কিছুই চোখে পড়ছে না। আর এতেই সিঁদুরে মেঘ দেখছেন রাজ্যের চিকিৎসক মহলের একাংশ। তাঁদের দাবি, ডেঙ্গু মোকাবিলার বিষয়টিকে গুরুত্ব দেওয়া না হলে আগামী দিনে ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি তৈরি হবে।

[আরও পড়ুন : ১০ দিনের ব্যবধানে করোনার বলি মা-বাবা, মুম্বইয়ে ‘একঘরে’ হয়ে দিন কাটছে দাসপুরের দুই ছেলের]

চিকিৎসক অরিন্দম বিশ্বাসের কথায়, “আমফানের কারণে বিভিন্ন জায়গায় এখনও জঞ্জাল স্তুপাকৃতি হয়ে আছে। এতে সমস্যা বাড়বে। জমা জল আগাছা সরিয়ে ফেলতে হবে। যে কোনোও ভাবে মশার বংশবৃদ্ধি রোধ করতে হবে। না হলে সমূহ বিপদ। বর্ষা এসে গিয়েছে। এখনই মশার বংশ বৃদ্ধি রোধ করা না গেলে করোনার পাশাপাশি আমাদের ডেঙ্গু ও ম্যালেরিয়া ছোবলও গায়ে এসে পড়বে। তাই সরকারি উদ্যোগের পাশাপাশি মানুষকেও সচেতন হতে হবে।”
যদিও গত ডিসেম্বরেই ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণের রুপরেখা তৈরি করতে বৈঠকে বসেছিলেন স্বাস্থ্য দপ্তরের আধিকারিকরা। সেখানে মশার বংশবৃদ্ধি রুখতে ফাঁকফোকর নিয়ে আলোচনা হয়েছিল। এমনকি ডেঙ্গু আক্রান্তের চিকিৎসায় একটি গাইডলাইন তৈরি হয়েছিল। ঠিক হয়েছিল একটি সফটওয়্যারের মাধ্যমে ডেঙ্গুপ্রবণ জেলাগুলিকে চিহ্নিত করে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ডেঙ্গির জীবাণু বহনকারী মশা নিয়ন্ত্রণের কাজ করবেন যেসব স্বাস্থ্যকর্মী, তাঁদের যথাযথ প্রশিক্ষণ দেওয়ার কথাও ভাবা হয়েছিল। কিন্তু করোনার কারণে আপাতত সেসব ঠান্ডা ঘরে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement