ব্রতদীপ ভট্টাচার্য, বারাসত: রাজ্যে প্রথম এক ডেঙ্গু আক্রান্তের মৃত্যু হল৷ মৃত ধীমানকান্তি মল্লিক উত্তর ২৪ পরগনার হাবড়ার বাসিন্দা৷ তিনি পেশায় প্রাথমিক শিক্ষক৷ তাঁর ডেথ সার্টিফিকেটে ডেঙ্গুর কথা উল্লেখ রয়েছে৷ এলাকার পরিবেশ রক্ষায় এবং সচেতনতায় উদাসীন স্থানীয় প্রশাসন, এই অভিযোগ তুলে শিক্ষকের মৃত্যুতে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন তাঁর পরিজনেরা৷
ধীমানকান্তি মল্লিক নামে বছর একচল্লিশের ওই ব্যক্তি হাবড়ার বিরা এলাকার একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক। এগারো দিন ধরে জ্বরে ভুগছিলেন তিনি৷ গত মঙ্গলবার তাঁকে বারাসতের একটি নার্সিংহোমে ভরতি করা হয়৷ পরে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে বাইপাসের একটি বেসরকারি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়৷ যমে-মানুষে লড়াইয়ে শুক্রবার বেলা তিনটে নাগাদ হার মানেন ওই প্রাথমিক শিক্ষক৷ মারা যান তিনি৷
শুক্রবার রাত একটা নাগাদ ধীমানকান্তির মল্লিকের দেহ এসে পৌঁছয় হাবড়ার বাড়িতে৷ শিক্ষকের মৃত্যুতে এলাকায় নেমেছে শোকের ছায়া। পরিবারের একমাত্র রোজগেরে ব্যক্তি মৃত্যুতে অসহায় হয়ে পড়েছেন তাঁর স্ত্রী এবং বছর সাতেকের ছেলে৷ শিক্ষামন্ত্রী এবং প্রশাসনিক আধিকারিকদের কাছে চাকরির আবেদন জানান শোকাতুর স্ত্রী৷
জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, মার্চ থেকে আগস্ট পর্যন্ত অন্তত চারশোরও বেশি মানুষের হাবড়া হাসপাতালে রক্তপরীক্ষার পর ডেঙ্গু ধরা পড়েছে। এছাড়া অশোকনগর, গাইঘাটা, গুমা-সহ পার্শ্ববর্তী এলাকার স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও হাসপাতালে বাড়ছে আক্রান্তের ভিড়৷ হাবড়া হাসপাতালের চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, গত দু’মাসে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা সব থেকে বেশি। এহেন পরিস্থিতিতে স্বাভাবিকভাবেই পুরসভা, পঞ্চায়েত ও প্রশাসনের ডেঙ্গু প্রতিরোধ অভিযান নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। এলাকাবাসীর দাবি, ২০১৮ সালে ডেঙ্গু প্রতিরোধের জন্য ব্যাপক তৎপরতা দেখা গিয়েছিল। কিন্তু এবছর তেমন কিছু চোখেই পড়েনি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.