আকাশনীল ভট্টাচার্য, বারাকপুর: ফের অজানা জ্বরে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হল এক নবম শ্রেণির ছাত্রীর। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বেলঘড়িয়া থানার কামারহাটি পুরসভার ২৯ নম্বর ওয়ার্ডের টেক্সম্যাকো কলোনির বাসিন্দা ঘনশ্যাম সিংয়ের ১৪ বছরের কন্যা অমৃতা সিং গত ৯ অক্টোবর থেকে প্রবল জ্বরে আক্রান্ত। শনিবার ওই ছাত্রীর জ্বর বাড়তে থাকায় তাকে দুপুর ১টা নাগাদ কামারহাটির ইএসআই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। মৃত ছাত্রীর বাবা ঘনশ্যাম সিং ও তার পরিবারের অভিযোগ, কোনওরকম চিকিৎসা না করেই মেয়েকে কলকাতার আরজি কর হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়।
শনিবার রাত ৩টে নাগাদ ওই হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। যদিও ডেথ সার্টিফিকেটে মৃত্যুর কারণ হিসেবে এনএসওয়ান বি অ্যাকটিভ দেখানো হয়েছে। গত ১০ অক্টোবর ওই এলাকারই অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী আরশিয়ানা পারভিন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়। এদিকে রবিবার সকালে অমৃতার মৃত্যুর খবর চাউর হতেই এলাকার বাসিন্দারা ক্ষোভে ফেটে পড়েন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান এলাকার কাউন্সিলর রুপালি সরকার ও কামারহাটি পুরসভার স্বাস্থ্য দপ্তরের সিআইসি বিমল সাহা। বাসিন্দারা জানান, ৪ নম্বর রেল গেট সংলগ্ন টেক্সম্যাকো কলোনি এলাকায় অনেকেই অজানা জ্বরে আক্রান্ত। ইএসআই হাসপাতালে নিয়ে গেলে ঠিক পরিষেবা মিলছে না। এলাকায় পুরসভা ও কারখানা কর্তৃপক্ষ জঞ্জাল ও ড্রেনের জমা জল সাফাইয়ের কোন উদ্যোগ নিচ্ছে না।
[লড়াই শেষ, মারা গেলেন নাগেরবাজার বিস্ফোরণে জখম ফল বিক্রেতা]
এদিকে সিআইসি বিমল সাহা জানান, গত শুক্রবার পুরসভার পক্ষ থেকে ড্রোনের মাধ্যমে জমা জলের নজরদারি চালানো হয়েছিল। কারখানার কোয়ার্টারের ভেতরে কোন ড্রেনের জল নিকাশি হচ্ছে না। এমনকি ভেতরে জঞ্জালে ভোরে গিয়েছে। পুরসভার পক্ষ থেকে কারখানা কর্তৃপক্ষকে বারবার বলা সত্ত্বেও বিষয়টি নিয়ে কোন কর্ণপাত করেনি। যদিও পুরসভার পক্ষ থেকে যতটা সম্ভব মশা মারার তেল ও ব্লিচিং পাউডার ছড়ানো হচ্ছে। তিনি সাফ জানিয়ে দেন, কারখানা কর্তৃপক্ষ যদি শীঘ্র জমাজল ও জঞ্জাল সাফাইয়ের ব্যবস্থা না করেন তাঁদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এদিকে মৃত ছাত্রীর পরিবারের লোকজন ও এলাকার বাসিন্দারা কামারহাটি ইএসআই হাসপাতালে চিকিৎসার গাফিলতির অভিযোগ তুলে হাসপাতাল চত্বরে রবিবার সকালে বেশ কিছুক্ষণ বিক্ষোভ দেখান। অবশেষে সিআইসি বিমল সাহা ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের আশ্বাসে বিক্ষোভ উঠে যায়৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.