Advertisement
Advertisement

ত্রিপুরা জয়ের উল্লাস নিরামিষ হবে কেন? পালটা হুঙ্কার দিলীপের

'লেনিনের মূর্তি ভাঙচুর ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ', সাফাই বিজেপির রাজ্য সভাপতির।

demolition of Lenin statue is outcome of anger, claims Dilip Ghosh
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:March 6, 2018 5:45 pm
  • Updated:September 14, 2019 11:43 am  

রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: ত্রিপুরায় লেনিনের মূর্তি ভাঙার ঘটনায় তোলপাড় গোটা দেশ। একযোগে ঘটনার নিন্দা করেছে সব রাজনৈতিক দলই। বাদ যায়নি এ রাজ্যে বামেদের প্রবল প্রতিপক্ষ তৃণমূল কংগ্রেসও। লেনিনের মূর্তি ভাঙার নিন্দা করেছেন খোদ দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু, এতকিছুর পরও, এই ঘটনায় অন্যায় কিছু দেখছেন না রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তাঁর সাফাই, গত ২৫ বছর ধরে ত্রিপুরায় অত্যাচার চালিয়েছে সিপিএম। লেনিন মূর্তি ভাঙচুরের ঘটনা সেই ক্ষোভেরই বহিঃপ্রকাশ। দিলীপ ঘোষের অভিযোগ, ত্রিপুরায় বিজেপিরও ৯ জন কার্যকর্তা মারা গিয়েছেন। তাই সব কিছু নিরামিষ হবে, এমন ভাবার কোনও কারণ নেই।

[‘আমরাও সিপিএমের বিরুদ্ধে লড়াই করেছি, কিন্তু মূর্তি ভাঙিনি’]

Advertisement

উত্তর-পূর্ব ছোট্ট রাজ্য ত্রিপুরা এতদিন বামদুর্গ বলে পরিচিত ছিল। টানা ২৫ বছর ক্ষমতায় ছিল মানিক সরকারের নেতৃত্বাধীন বামফ্রন্ট সরকার। কিন্তু, সদ্য সমাপ্ত বিধানসভা ভোটে উত্তর-পূর্বে এই রাজ্যে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে বিজেপি। শনিবার ভোটের ফল ঘোষণা ত্রিপুরার বিভিন্ন প্রান্তে আক্রান্ত বাম কর্মী-সমর্থকরা। সোমবার দক্ষিণ ত্রিপুরায় বামপন্থী রাজনীতির শ্রেষ্ঠ নেতা ও রুশ বিপ্লবের নায়ক ভ্লাদিমির পুতিনের একটি মূর্তি ভেঙে দেওয়া হয়। এই ঘটনায় একযোগে বিজেপি নিন্দা করেছেন সব রাজনৈতিক দলই। এ রাজ্যে ৩৪ বছরের বামজমানার অবসান ঘটিয়ে ক্ষমতায় এসেছে তৃণমূল কংগ্রেস। কিন্তু, লেনিনের মূর্তি ভাঙার ঘটনায় বামেদের পাশে দাঁড়িয়েছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। বিজেপিকে তালিবানের মতো সন্ত্রাসবাদ দল বলে কটাক্ষ করেছেন শাসকদলের প্রথমসারির নেতা ও মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমও। তুমুল সমালোচনার মুখে পড়ে এবার পালটা হুঙ্কার দিলেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষও।

[‘বিজেপি তালিবানের মতো সন্ত্রাসবাদী দল’, কটাক্ষ ফিরহাদের]

কী বলেছেন এ রাজ্যে গেরুয়া শিবিরের সর্বোচ্চ নেতা? মঙ্গলবার দিলীপ ঘোষ বলেন, গত ২৫ বছর ধরে ত্রিপুরায় অত্যাচার চালিয়েছে সিপিএম। লেনিনের মূর্তি ভাঙার ঘটনা সেই ক্ষোভেরই বহিঃপ্রকাশ। বিজেপি রাজ্যে সভাপতির সংযোজন, ত্রিপুরায় তাঁর দলেরও ৯ জন কার্যকর্তা মারা গিয়েছেন। তাই সবকিছু নিরামিষ হবে, এমন ভাবার কোনও কারণ নেই। এ রাজ্যে আসন্ন পঞ্চায়েত ভোটেও যে তৃণমূলকে বিজেপি যে এক ইঞ্চিও জমি ছাড়বে না, তাও স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন দলের রাজ্য সভাপতি। এদিকে দিলীপ ঘোষের এহেন রণংদেহি মেজাজে অশনি সংকেত দেখছে রাজনৈতিক মহল। তাঁদের আশঙ্কা, এ রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোটেও তুমুল অশান্তি ও সংঘর্ষ হবে।

[খাস কলকাতায় পুলিশ সেজে প্রতারণা, আলিপুরে গ্রেপ্তার ১ ব্যক্তি]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement