অভ্রবরণ চট্টোপাধ্যায়, শিলিগুড়ি: চেল নদীর (Chel River) উপর সেতু চাই। এই দাবিতে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি দিতে প্রায় ২৫০কিলোমিটার পথ পায়ে হেঁটে উত্তরকন্যা পৌঁছলেন ক্রান্তির বাসিন্দা মহম্মদ নুর নবিবুল ইসলাম। যদিও শনিবার রাতে উত্তরকন্যা বন্ধ থাকায় কারও সঙ্গে দেখা হয়নি। আবার রবিবারও উত্তরকন্যা বন্ধ থাকে। তাই সোমবার তিনি উত্তরকন্যা গিয়ে তাঁর চিঠি জমা দেবেন।
ক্রান্তি ও মালবাজারের মাঝখানে রয়েছে চেল নদী। সেখানে সেতু না থাকায় ক্রান্তি ব্লকের বিভিন্ন গ্রামের বাসিন্দাদের জঙ্গলের মধ্যে দিয়ে ঘুরপথে মালবাজার পৌঁছতে হয়। তাতে অনেক সময় বিপদ নেমে আসে। সবথেকে অসুবিধা হয় গর্ভবতী মহিলাদের নিয়ে যেতে। শুধু তাই নয়, মালবাজারেই রয়েছে দমকলকেন্দ্র থেকে শুরু বড় বড় বিদ্যালয় ও কলেজ। তাই সেতুর দাবিতে নুর ও তাঁর কোদালকাঁটি গ্রামের বাসিন্দারা প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়। একের পর এক সরকারি দপ্তরে যান। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি। প্রতিবাদে মঙ্গলবার সকালে জাতীয় পতাকা নিয়ে ক্রান্তি থেকে পায়ে হেঁটে রওনা দেন নুর নবিবুল ইসলাম। তিনি প্রথমে মালবাজারে যান। সেখানে তাঁর সঙ্গে পা মেলান পদ্মশ্রী প্রাপক করিমুল হক। তিনি প্রায় ২কিলোমিটার তাঁর সঙ্গে হাঁটেন।
শিলিগুড়ি আসার পথে নুর প্রথমে যান রাঙামাটি এলাকায়। সেখানে গিয়ে রাজ্যের অনগ্রসর কল্যান শ্রেণির মন্ত্রী বুলুচিক বড়াইকের সঙ্গে দেখা করতে যান। যদিও তিনি না থাকায় তাঁর দপ্তরে চিঠি দিয়ে আসেন। সেখান থেকে বানারহাট গিয়ে সংখ্যালঘু উন্নয়ন দপ্তরের কেন্দ্রীয় রাষ্ট্রমন্ত্রী জন বার্লার সঙ্গে দেখা করে তাকে চিঠি দেন। পরবর্তীতে নুর কোচবিহারে গিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র রাষ্ট্রমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকের বাড়িতে যান। উনিও না থাকায় তার দপ্তরে চিঠি দিয়ে আসেন। সেখান থেকে নুর জলপাইগুড়ি আসেন।
তবে এই জেলার বিজেপি সাংসদ জয়ন্ত রায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করলেও উনি কোনও সাড়া দেননি। তারপরেই তিনি শনিবার রাতে পৌঁছে যান উত্তরকন্যা। নুর বলেন, “একমাত্র মুখ্যমন্ত্রী আমাদের এই দাবী পূরণ করতে পারেন। তাই উনাকে চিঠি দিতে এসেছি। তবে সরকারি দপ্তরে গিয়ে কোনও পাত্তা না পাওয়ায় প্রতিবাদে পা হেঁটে এলাম। কিন্তু আগামী ১মাসের মধ্যে সেতুর ঘোষণা না হলে আমরা আন্দোলনে নামব।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.