Advertisement
Advertisement

জঙ্গলমহলে প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন সংরক্ষণের দাবি

অভিযোগ, জঙ্গলমহলের এই মূল্যবান সম্পদ দীর্ঘ দিন ধরে পড়ে থেকে নষ্ট হচ্ছে, পাচার হয়ে যাচ্ছে৷

Demand to preserve archaeological samples of Jangalmahal
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:November 17, 2016 1:34 pm
  • Updated:November 17, 2016 1:34 pm  

সুনীপা চক্রবর্তী, ঝাড়গ্রাম: ঝাড়গ্রামকে জেলা হিসেবে ঘোষণা করা সময়ের অপেক্ষা৷ অথচ জঙ্গলমহল ঝাড়গ্রাম মহকুমায় দেশের মধ্যে প্রথম আদি মানুষের জীবাশ্ম পাওয়া গেলেও এখনও রাজ্য প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ এলাকার প্রাচীন প্রত্ননিদর্শনগুলি সংরক্ষণে উদাসীন৷ রাজ্য প্রত্নতত্ত্ব ও সংগ্রহালয় অধিকার বিভাগের জেলাভিত্তিক দ্বিতীয় পাঁচদিনের প্রত্ন বিষয়ক প্রদর্শনী হওয়ার পর একদিনের সচেতনতা শিবিরে ঝাড়গ্রামের বিশিষ্ট গবেষক, সাহিত্যিকরা জঙ্গলমহল তথা ঝাড়গ্রামের বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা প্রায় ধ্বংসে পরিণত হওয়া প্রাচীন প্রত্ননিদর্শনগুলি খনন এবং তা সংরক্ষণের দাবি তুলেছেন৷

দ্বিতীয় দফার প্রত্ন নিদর্শন প্রদর্শনী এবং ভ্রাম্যমান প্রত্ন নিদর্শন দেখতে ঝাড়গ্রামবাসীর মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ ছিল৷ কিন্তু পাশাপাশি প্রশ্ন উঠেছে, জঙ্গলমহলের বিপুল প্রত্ননিদর্শন যেগুলি দীর্ঘ দশক ধরে পড়ে থেকে নষ্ট হচ্ছে, চুরি হয়ে পাচার হয়ে যাচ্ছে সেগুলি সংরক্ষণের কী ব্যবস্থা নিচ্ছে৷ রাজ্য প্রত্ন বিভাগ গবেষকরা দাবি করছেন সচেতনতা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে তা সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা৷

Advertisement

অন্যদিকে, রাজ্য তথ্য সংস্কৃতি বিভাগের অতিরিক্ত সচিব এবং রাজ্য প্রত্নতত্ত্ব ও সংগ্রহালয় অধিকার দফতরে অধিকর্তা পিয়ালি সেনগুপ্তর বক্তব্য, “আমরা জেলাজুড়ে প্রচুর কাজ করছি৷ জেলায় প্রত্নবিষয়ে সচেতনতা বাড়ানোর জন্য প্রদর্শনী, আলোচনা শিবির করছি৷ তবে কেবল ঝাড়গ্রাম মহকুমাকে নিয়ে এখনও কোনও কাজ না হলেও আমরা ইতিমধ্যে চিন্তাভাবনা শুরু করেছি৷ এ নিয়ে ঝাড়গ্রামের পুরপ্রধানের সঙ্গে কথা বলেছি৷ আগামী অর্থবর্ষের মধ্যে কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে৷”

মঙ্গলবার প্রত্ন সচেতনতা বিষয়ক ঝাড়গ্রাম রাজ কলেজে অনুষ্ঠিত শিবিরে আমন্ত্রিত বক্তা লোকসংস্কৃতির গবেষক সুব্রত মুখোপাধ্যায় ঝাড়গ্রাম মহকুমা তথা জঙ্গলমহলের পিয়ারচাঁদ, ডাইনটিকরি, রাজপাড়া সূর্যমন্দির, চন্দ্ররেখাগড়, মুণ্ডহীন জয়চণ্ডী, বালিপাল, নুনিয়া, কলামুড়ি-সহ আরও অন্যান্য নানা প্রাচীন বৌ, জৈন, ভুঁইয়া রাজাদের নানা প্রত্ন নিদর্শন এবং খননের মাধ্যমে সংরক্ষণের দাবি তোলেন৷ তিনি বিশেষভাবে আলোকপাতের প্রয়োজনের কথা তুলে ধরেন৷ সুব্রতবাবু বলেন, “বিগত বছরগুলিতে জঙ্গলমহলে প্রত্নবিষয়ে রাজ্যের কোনও মাথাব্যথা ছিল না৷ বর্তমান রাজ্য সরকার আমাদের জেলার উপর বিশেষ দৃষ্টি দিয়েছে৷ জেলায় দফতরের এই প্রদর্শনী এবং আলোচনা শিবির বিশেষ উপকারে লাগবে৷ তবে ঝাড়গ্রামবাসীদের পক্ষ থেকে চাইব জঙ্গলমহলের প্রত্ননিদর্শনগুলি সংরক্ষণ করা হোক৷”

শিবিরের অন্যতম বক্তা লোকসংস্কৃতির গবেষক, সাহিত্যিক মধূপ দেও ঝাড়গ্রামের নানা প্রত্নসম্পদগুলি খনন এবং তা সংরক্ষণের আবেদন জানিয়েছেন৷ ঝাড়গ্রামের বাসিন্দা ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক, অধ্যাপকরা অভিযোগ করেন, ঝাড়গ্রামের বাসিন্দা বহু মানুষ চোখের সামনে নানা প্রত্ননিদর্শনগুলি দেখলেও না জানার কারণে সেগুলি অবহেলা করেন৷

২০২৪ এর পূজা সংক্রান্ত সমস্ত খবর জানতে চোখ রাখুন আমাদের দেবীপক্ষ -এর পাতায়।

চোখ রাখুন
Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement