সুব্রত বিশ্বাস: শহর ও শহরতলির একাংশের লোকাল ট্রেন (Local Trains) চলাচল শুরু হওয়ার পর চাপ বাড়ছিল জেলা অর্থাৎ মফস্বলগুলিতে ট্রেন পরিষেবা চালু করার। সেইমতো শনিবার রাজ্যের প্রশাসনিক কর্তারা রেলের প্রতিনিধিদের বৈঠকে আহ্বান জানালেও, অনুপস্থিত ছিল রেল। তাঁদের জন্য অপেক্ষা না করে নন সুবার্বনে (Suburnban Rail) ট্রেন চালানোর অনুমতি দিয়ে দিল সরকার। কিন্তু পরিষেবা চালুর বিষয়টি ঝুলেই রইল। জিইয়ে রইল কলকাতার দূরবর্তী জেলাগুলোর মানুষজনের সমস্যা।
বীরভূম, মুর্শিদাবাদ, মালদহ, বর্ধমানের একাংশের মানুষজন ট্রেন পরিষেবা না পেয়ে চরম অসুবিধার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন। অবিলম্বে লোকাল না চললে যেসব মেল-এক্সপ্রেস ওই লাইনে চলছে, তা স্তব্ধ করার হুমকি দিয়েছে বীরভূম জেলা কংগ্রেস। জেলার প্রতিটি স্টেশন কতৃপক্ষকে তাঁরা স্মারকলিপি দেয়। বীরভূম জেলা কংগ্রেসের কার্যকরী সভাপতির মতে, বর্ধমান-সাহেবগঞ্জ, আহমেদপুর-কাটোয়া, রামপুরহাট-অনিমগঞ্জ, রামপুরহাট-দুমকা, রামপুরহাট-অন্ডাল শাখায় লকডাউনের সময় থেকেই ট্রেন চলছে না। রোগী থেকে পড়ুয়া, চাকরিজীবী, কৃষক, কুমোররা প্রত্যেকে ট্রেনের অভাবে রুটি-রুজিহীন হয়ে পড়েছেন।
১১ নভেম্বর থেকে লোকাল ট্রেন চালু হলেও নন সুবার্বনের ট্রেনগুলি বন্ধ রয়েছে। দীপাবলির পরে এ নিয়ে সিদ্ধান্তের কথা ছিল রেল-রাজ্যের। শনিবার রাজ্য সেই বৈঠক ডাকলেও রেলের তরফে কেউ হাজির হননি। শিয়ালদহের ডিআরএম এসপি সিং বলেন, ”শনিবার ছুটির দিন। বেলায় ডেকে বিকালেই মিটিং করতে চাইলে সম্ভব নয়। নির্ধারিত বিষয়টি তৈরি করতে সময় লাগে।” এসপি সিংয়ের আরও বক্তব্য, এত আলোচনার কী আছে? রাজ্য অনুমতি দিলেই ট্রেন চালিয়ে দেবে রেল। যদিও বিষয়টি এত সহজ নয় বলে মনে করেছে রেল পুলিশ মহল। এক পুলিশ সুপারের মতে, দু’তরফে আলোচনা ও বিধি মেনে ট্রেন চালাতে হবে, এটাই আইন। ফলে প্রশ্ন উঠছে, তবে কি সুবার্বন ট্রেন চালাতে আরও বিলম্ব হবে?
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.