প্রতীকী ছবি
বাবুল হক, মালদহ: মালদহের চাঁচোলে আদিবাসী মহিলা খুনের ঘটনায় চাঞ্চল্যকর মোড়। খুনের ঘটনায় ধৃত আবু তালেব জানিয়েছে, সে একা ওই কাজ করেনি। ওই মহিলার স্বামীও ঘটনার সঙ্গে জড়িত।
চাঁচোলের একটি আমবাগানে এক মহিলার দগ্ধ মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছিল বৃহস্পতিবার। শুক্রবার ওই মৃতদেহ তাঁর বাবা শনাক্ত করেন। এদিকে এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ দেখে পুলিশ ওই মহিলার সঙ্গে এই আবু তালেবকে চিহ্নিত করে। গতকাল তাঁকে গ্রেপ্তারও করা হয়। আজ রবিবার তাকে চাঁচোল মহকুমা আদালতে তোলা হয়েছিল। বিচারক ধৃতকে ১০ দিনের পুলিশ হেপাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন।
পুলিশ তাকে গতকাল থেকেই ধারাবাহিক জেরা করছে। জেরায় খুনের কথা সে স্বীকার করে নিয়েছে বলেও পুলিশের দাবি। ধৃত ব্যক্তি উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জ এলাকারই বাসিন্দা। দীর্ঘ সময় ধরে ওই মহিলার সঙ্গে তার যোগাযোগও ছিল। আজ ধৃতকে আদালতে নিয়ে যাওয়া হয়। সেসময় ধৃত প্রকাশ্যে দাবি করে, ঘটনার সঙ্গে মৃতার স্বামীও জড়িত। এই বক্তব্যে নাটকীয় মোড় সামনে এল। পুলিশ এই বক্তব্যকে খতিয়ে দেখছে।
গতকালই তদন্তে জানা গিয়েছিল, বছর ১৫ আগে উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জে ওই মহিলার বিয়ে হয়েছিল। সাংসারিক অশান্তির কারণে তিনি বেশ কয়েক বছর ধরে চাঁচোলে বাপেরবাড়ি এসে থাকছিলেন। তাঁর তিন সন্তানও আছে। বিবাহ বহির্ভুত সম্পর্কের কারণে এই খুন। প্রাথমিকভাবে তেমনই মনে করছেন তদন্তকারীরা। এই ব্যক্তির সঙ্গে ওই মহিলার সম্পর্ক কতটা গভীর ছিল? কেন ওই মহিলাকে এমন নৃশংসভাবে খুন করা হল? নিছকই প্রতিহিংসা, নাকি অন্য কোনও বড় কারণ? সেই বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কিন্তু কেন মৃতার স্বামী খুন করবেন? তাহলে দুজনের মধ্যে যোগাযোগ ছিল?
এলাকার সিসিটিভি ফুটেজে ওই মহিলার সঙ্গে ধৃতকে দেখা গিয়েছিল। প্রাক্তন স্বামী কি আমবাগানে ছিলেন? কীভাবে তিনি জড়িত ওই খুনের সঙ্গে? সেই তথ্য খোঁজার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.