চঞ্চল প্রধান, হলদিয়া: মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যের ভুল ব্যাখ্যা করে তৃণমূলের পার্টি অফিসে তালা ঝুলিয়ে দেওয়ার অভিযোগ বিক্ষুব্ধ বিজেপির (BJP) বিরুদ্ধে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে তুমুল চাঞ্চল্য নন্দীগ্রামে (Nandigram)। বিজেপির এই ‘জুলুমবাজি’র তীব্র নিন্দা করেছেন তমলুক লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী দেবাংশু ভট্টাচার্য। নিজে হাতে ভাঙলেন দলীয় কার্যালয়ের তালা।
ঘটনার সূত্রপাত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এক বক্তব্যকে ঘিরে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভোটপ্রচারে গিয়ে উত্তরবঙ্গের সভায় বলেছিলেন ‘পূর্ব মেদিনীপুর গদ্দারের জায়গা’। তার প্রতিবাদেই এদিন ক্ষোভে ফেটে পড়েন জেলার বিজেপি নেতারা। তালা ঝুলিয়ে দেন তৃণমূলের কার্যালয়ে। স্থানীয় বিজেপি নেতা, তথা তমলুক সাংগঠনিক জেলার সহ-সভাপতি প্রলয় পাল বলেন, “মেদিনীপুর সতীশ সামন্ত, সুশীল ধারা, ক্ষুদিরাম বসুদের জন্মস্থান। এই জেলা বিপ্লবের জন্ম দেয়। দেশের স্বাধীনতা আন্দোলনে এই জেলার অবদান উল্লেখযোগ্য। সেই জেলাকে গদ্দারের জায়গা বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। আমাদের জেলাকে অপমান করা হয়েছে। প্রতিবাদে তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুলিয়া অঞ্চল পার্টি অফিসে আমরা তালা ঝুলিয়ে দিলাম। এখানে কোনও খারাপ কাজ করতে দেব না। যেদিন মুখ্যমন্ত্রী প্রকাশ্য সভা করে ক্ষমা চাইবেন, সেদিন চাবিটা ফিরিয়ে দেব।”
এদিকে নন্দীগ্রাম দু’নম্বর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের স্থানীয় সদস্য পরিতোষ জানা বিজেপির কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদ জানান। বলেন, “বিজেপিতে প্রলয় পালের নেতৃত্বে এবং শুভেন্দু অধিকারীর উস্কানিতে অন্যায়ভাবে আমাদের পার্টি অফিসে তালা ঝুলিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী খারাপ কথা বলে থাকলে নির্বাচন কমিশন আছে। সেখানে অভিযোগ জানাতে পারে ওরা।” এদিন তমলুক লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী দেবাংশু ভট্টাচার্য, দলের তমলুক সাংগঠনিক জেলার চেয়ারম্যান চিত্তরঞ্জন মাইতি, সভাপতি অসিত বন্দ্যোপাধ্যায় এবং স্থানীয় ব্লক সভাপতি সুনীলবরণ জানা, তৃণমূল কংগ্রেস নির্বাচন কমিটির চেয়ারম্যান মহাদেব বাগ-সহ অন্যান্য নেতারা বিরুলিয়ার পার্টি অফিসে যান। তাঁরা নিজের হাতে হাতুড়ি দিয়ে তালা ভাঙেন। পরবর্তীতে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী বিরুলিয়া ছাড়ার পর ফের উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বিরুলিয়া বাজার এলাকা। বেশ কিছু বিজেপি সমর্থক মুখ্যমন্ত্রী এবং তাঁর দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফেটে পড়েন। রাস্তা আটকে বিক্ষোভও দেখান। পরবর্তীতে পুলিশের উপস্থিতিতে আয়ত্তে আসে পরিস্থিতি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.