স্টাফ রিপোর্টার: মহিলা নেত্রী দেবলীনা হেমব্রমকে বাঁকুড়া জেলা সম্পাদক পদে বসানোকে নজিরবিহীন বলে সিপিএম দাবি করলেও তা নিয়ে প্রশ্ন উঠে গেল রাজনৈতিক মহলে। সিপিআই ভেঙে সিপিএমের জন্মের পর থেকে জেলা সম্পাদক পদে কখনও কোনও মহিলা ছিলেন না। বাঁকুড়ার ক্ষেত্রেই সেটা প্রথম হল।
সূত্রের খবর, জেলা সম্পাদক পদের দাবিদার নিয়ে দ্বন্দ্ব থাকাতেই বাঁকুড়ায় তৃতীয় নাম হিসেবে দেবলীনাকে বেছে নিয়েছে আলিমুদ্দিন। জেলা সম্পাদক পদ নিয়ে ভোটাভুটি না হলেও সম্পাদক হওয়ার দৌড়ে ছিলেন দলের রাজ্য কমিটির সদস্য অভয় মুখোপাধ্যায়। অভয় ডিওয়াইএফআইয়ের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকও ছিলেন। আর সম্পাদক পদের দাবিদার হিসেবে দ্বিতীয়জন ছিলেন বাঁকুড়া জেলা পরিষদের প্রাক্তন সভাধিপতি পার্থপ্রতিম মজুমদার। কিন্তু ভোটাভুটি ঠেকাতে জেলা সম্পাদক পদে তৃতীয় নাম হিসাবে দেবলীনার নাম প্রস্তাব করেন মহম্মদ সেলিম এবং অমিয় পাত্র। তারপরই দেবলীনার নাম চূডা়ন্ত হয় বলে পার্টির একাংশ বলছেন।
দেবলীনা বর্তমানে সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটিতে রয়েছেন। রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীরও সদস্য। এবার জেলা সম্পাদক হওয়ায় তিনটি পদে তিনি রয়েছেন। সিপিএমের গঠনতন্ত্র বলছে, কেন্দ্র, রাজ্য ও জেলা স্তরে তিনটি দায়িত্বে একসঙ্গে একজন থাকতে পারেন না। দেবলীনার ক্ষেত্রে সেই নিয়মেরও ব্যতিক্রম হয়েছে। কিন্তু পার্টির একাংশই প্রশ্ন তুলেছে, একজন কীভাবে দলের তিনটি কমিটিতে রয়েছেন? কেন নিয়ম ভাঙা হল?
উল্লেখ্য, জেলা সম্পাদক পদে কোন্দল ঠেকাতে এর আগে হুগলি ও উত্তর ২৪পরগনা জেলায় তৃতীয় নাম চূডা়ন্ত করেছিল সিপিএম। উত্তর ২৪ পরগনায় নেপালদেব ভট্টাচার্য থেকে তড়িৎ তোপদারের কোন্দল রুখতে তৃতীয় নাম হিসেবে গৌতম দেবকে সম্পাদক করা হয়েছেল ২০১১ সালে। আর হুগলিতেও এক সময় অনিল বসু ও সুনীল সরকারের দ্বন্দ্ব সামলাতে সম্পাদক পদে তৃতীয় নাম হিসেবে নিয়ে আসা হয়েছিল সুদর্শন রায়চৌধুরিকে। দ্বন্দ্ব ঠেকাতে তৃতীয় নাম সম্পাদক পদে তুলে আনার নজির থাকলেও এখন অবশ্য সেসব অতীত।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.