প্রতীকী ছবি।
অর্ণব দাস, বারাসত: মধ্যমগ্রামের তেল শোধনের কারখানায় বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ডে মৃত বেড়ে ৩। বুধবারই ঘটনাস্থলে ঝলসে মৃত্যু হয়েছিল এক শ্রমিকের। আরও দুজনের অবস্থা ছিল আশঙ্কাজনক। গতকাল রাত ১২টা এবং বৃহস্পতিবার সকালে হাসপাতালেই মৃত্যু হয় তাঁদের। কালীপুজোর আগের দিনের এই ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া।
বুধবার দুপুরে মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটে উত্তর ২৪ পরগনা জেলা সদর বারাসত লাগোয়া দত্তপুকুর থানার কদম্বগাছি পঞ্চায়েতের চন্ডিগড়ি গ্রামে। মৃত শ্রমিকের নাম বিশ্বনাথ বোস। গুরুতর জখম ছিলেন দুই শ্রমিক ৬২ বছরের জয়দেব কর্মকার এবং ৬৫ বছরের শের আলি। তাঁদের বারাসত সরকারি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছিল। সেখানেই তাঁদের মৃত্যু হয়। অগ্নিদগ্ধ হয়ে কলকাতার একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে চিকিৎসাধীন আছেন মালিকের জামাই কুলদীপ সিং।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, চন্ডিগড়ি গ্রামে ২০০৩ সাল থেকেই রয়েছে বসুজ ইন্ডাস্ট্রিয়াল অয়েল অ্যান্ড ক্যামিকেল নামে তেল শোধন কারখানাটি। সেখানে কাজ করতেন ১২ জন শ্রমিক। গতকাল দুপরে কাজ করছিলেন তিনজন শ্রমিক। সঙ্গে ছিলেন মালিকের জামাই কুলদীপ সিং। আনুমানিক দুপুর দেড়টা নাগাদ এই কারখানায় বিস্ফোরণের শব্দ শুনতে পান গ্রামবাসীরা। তার পরই দাউদাউ করে লাগুন লেগে যায়। কারখানার ভিতরে পেট্রল, ডিজেল মজুত থাকায় দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়ে। আটকে পড়েন কারখানার ভিতরের থাকা সকলে। গ্রামবাসীরাই প্রথমে আগুন নেভানোর কাজ হাত লাগান। খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে আসে দমকলের পাঁচটি ইঞ্জিন-সহ দত্তপুকুর থানার পুলিশ। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে কার্যত হিমশিম খেতে হয় দমকল কর্মীদের।
কোনওক্রমে কারখানার ভিতর থেকে অগ্নিদগ্ধ চার জনকে উদ্ধার করা হয়। তাদের মধ্যে তিনজন শ্রমিককে বারাসত হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক বিশ্বনাথ বোসকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। বাকি দু’জনের অবস্থাও আশঙ্কাজনক ছিল। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁদের মৃত্য়ু হয়।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.