নিজস্ব সংবাদদাতা, বনগাঁ: জেল হেফাজতে থাকাকালীন বন্দির মৃত্যু ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়াল বনগাঁ মহকুমা উপসংশোধনাগারে৷ মৃত ব্যক্তি বছর পঁয়তাল্লিশের তপন দাস৷ বৃহস্পতিবার বেলার দিকে কারাগারের ভিতরে তাঁর নিথর দেহ দেখতে পাওয়া যায়৷ পুলিশ তড়িঘড়ি দেহ উদ্ধার করে বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন৷ দেহ পাঠানো হয়েছে ময়নাতদন্তে৷ তার রিপোর্ট হাতে না পাওয়া পর্যন্ত মৃত্যুর কারণ নিয়ে কোনও ইঙ্গিত মিলছে না বলে পুলিশ সূত্রে খবর৷
গত ৮ এপ্রিল রাতে স্থানীয় বৈকারা এলাকা থেকে গুলি ভরতি পাইপগান-সহ তপন দাসকে গ্রেপ্তার করে গাইঘাটা থানার পুলিশ৷ কেন নিজের কাছে অস্ত্র রেখেছিল, তা নিয়ে বিস্তর জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় তাঁকে৷ পুলিশ সূত্রে খবর, গাইঘাটা এলাকায় অটো চালান তপন৷ ফুলসরা এলাকায় তাঁর বাড়ি৷ সাধারণ জীবনযাপন করেন৷ এমন একজনের কাছ থেকে আগ্নেয়াস্ত্র পাওয়ায় পুলিশের সন্দেহ বাড়ে৷ ভোটের ঠিক আগে কোথা থেকে কীভাবে ওই গুলি ভরতি পাইপগান তাঁর কাছে এল, সেই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে থাকে পুলিশ৷ কিন্তু তপন দাস জিজ্ঞাসাবাদে কোনও সহযোগিতা করেননি বলে অভিযোগ৷
পরেরদিন অর্থাৎ ৯ তারিখ তপন দাসকে বনগাঁ মহকুমা আদালতে পেশ করে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানায় পুলিশ৷ বিচারক অভিযুক্তকে জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন৷ তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় বনগাঁ মহকুমা উপসংশোধনাগারে৷ সেখানেই ছিলেন তপন দাস৷ এরপর বৃহস্পতিবার সকালে তাঁর দেহ উদ্ধারের পর খবর দেওয়া হয় বাড়িতে৷ খবর পাওয়ামাত্র বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালে ছুটে যান পরিবারের সদস্যরা৷ তবে অভিযোগ, ময়নাতদন্তের কথা বলে তাঁদের দেহ দেখতে দেওয়া হয়নি৷ পরিবার সূত্রের খবর, নির্বিবাদী তপন দাস একেবারেই দুষ্কৃতীমূলক কাজকর্মের সঙ্গে যুক্ত নন৷ তা সত্ত্বেও কীভাবে তাঁর কাছে পাইপগান এল এবং ঠিক কী কারণে গ্রেপ্তার করা হল, বুঝেই উঠতে পারছেন না পরিবারের লোকজন৷ তাঁদের অনুমান, জেলে থাকার অপমান সহ্য করতে না পেরে আত্মঘাতী হয়েছেন তপন দাস৷ এমন মর্মান্তিক পরিণতিতে স্বভাবতই শোকের ছায়া পরিবারে৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.