Advertisement
Advertisement
বন্দি মৃত্যু

জেল হেফাজতে বন্দির মৃত্যু বনগাঁয়, অপমানে আত্মহত্যা বলে অনুমান পরিবারের

মৃত্যুর কারণ নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছে বনগাঁ পুলিশ৷

Death of a man during jail custody in Bongaon raises questions
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:April 11, 2019 3:42 pm
  • Updated:April 11, 2019 3:42 pm  

নিজস্ব সংবাদদাতা, বনগাঁ: জেল হেফাজতে থাকাকালীন বন্দির মৃত্যু ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়াল বনগাঁ মহকুমা উপসংশোধনাগারে৷ মৃত ব্যক্তি বছর পঁয়তাল্লিশের তপন দাস৷ বৃহস্পতিবার বেলার দিকে কারাগারের ভিতরে তাঁর নিথর দেহ দেখতে পাওয়া যায়৷ পুলিশ তড়িঘড়ি দেহ উদ্ধার করে বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন৷ দেহ পাঠানো হয়েছে ময়নাতদন্তে৷ তার রিপোর্ট হাতে না পাওয়া পর্যন্ত মৃত্যুর কারণ নিয়ে কোনও ইঙ্গিত মিলছে না বলে পুলিশ সূত্রে খবর৷

                                          [ আরও পড়ুন: পাহাড়ের আবেগ না বুঝে ভোট পাওয়াই লক্ষ্য, অমিত শাহকে খোঁচা মমতার]

গত ৮ এপ্রিল রাতে স্থানীয় বৈকারা এলাকা থেকে গুলি ভরতি পাইপগান-সহ তপন দাসকে গ্রেপ্তার করে গাইঘাটা থানার পুলিশ৷ কেন নিজের কাছে অস্ত্র রেখেছিল, তা নিয়ে বিস্তর জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় তাঁকে৷ পুলিশ সূত্রে খবর, গাইঘাটা এলাকায় অটো চালান তপন৷ ফুলসরা এলাকায় তাঁর বাড়ি৷ সাধারণ জীবনযাপন করেন৷ এমন একজনের কাছ থেকে আগ্নেয়াস্ত্র পাওয়ায় পুলিশের সন্দেহ বাড়ে৷ ভোটের ঠিক আগে কোথা থেকে কীভাবে ওই গুলি ভরতি পাইপগান তাঁর কাছে এল, সেই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে থাকে পুলিশ৷ কিন্তু তপন দাস জিজ্ঞাসাবাদে কোনও সহযোগিতা করেননি বলে অভিযোগ৷

Advertisement

                                        [ আরও পড়ুন:  জ্বলন্ত অবস্থায় গ্যাস সিলিন্ডারের পাইপ খুলে দুর্ঘটনা, বাঁকুড়ায় অগ্নিকাণ্ডে দগ্ধ ৭]

পরেরদিন অর্থাৎ ৯ তারিখ তপন দাসকে বনগাঁ মহকুমা আদালতে পেশ করে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানায় পুলিশ৷ বিচারক অভিযুক্তকে জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন৷ তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় বনগাঁ মহকুমা উপসংশোধনাগারে৷ সেখানেই ছিলেন তপন দাস৷ এরপর বৃহস্পতিবার সকালে তাঁর দেহ উদ্ধারের পর খবর দেওয়া হয় বাড়িতে৷ খবর পাওয়ামাত্র বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালে ছুটে যান পরিবারের সদস্যরা৷ তবে অভিযোগ, ময়নাতদন্তের কথা বলে তাঁদের দেহ দেখতে দেওয়া হয়নি৷ পরিবার সূত্রের খবর, নির্বিবাদী তপন দাস একেবারেই দুষ্কৃতীমূলক কাজকর্মের সঙ্গে যুক্ত নন৷ তা সত্ত্বেও কীভাবে তাঁর কাছে পাইপগান এল এবং ঠিক কী কারণে গ্রেপ্তার করা হল, বুঝেই উঠতে পারছেন না পরিবারের লোকজন৷ তাঁদের অনুমান, জেলে থাকার অপমান সহ্য করতে না পেরে আত্মঘাতী হয়েছেন তপন দাস৷ এমন মর্মান্তিক পরিণতিতে স্বভাবতই শোকের ছায়া পরিবারে৷

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement