সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, দুর্গাপুর: গ্রেপ্তারির ভয়ে আত্মগোপন করেছেন প্রধান। অচলাবস্থা দুর্গাপুরের কাঁকসার মলানদিঘি গ্রাম পঞ্চায়েতে। পরিষেবা না পেয়ে ক্ষুদ্ধ স্থানীয় বাসিন্দারা।
গত ৯ ডিসেম্বর কাঁকসায় দুষ্কৃতীদের গুলিতে খুন হন বিজেপি কর্মী সন্দীপ ঘোষ। সেদিন রাতে দলের বুথ কমিটির মিটিং ছিল। বিজেপি কর্মীদের অভিযোগ, মিটিং সেরে ফেরার পথে রূপগঞ্জে তাঁদের উপর লাঠি ও আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে চড়াও হয় শাসকদল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। বাইক থেকে নামিয়ে সন্দীপকে লক্ষ্য করে খুব কাছ থেকে গুলি চালানো হয়। বেধড়ক মারধর করা হয় জয়দীপ বন্দ্যোপাধ্যায় নামে আরও এক বিজেপি কর্মীকে। হাসপাতালে নিয়ে গেলে সন্দীপকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। দলের কর্মীকে খুনের ঘটনায় সিবিআই তদন্তের দাবি তুলেছে বিজেপি স্থানীয় নেতৃত্ব। ঘটনার প্রতিবাদে দুর্গাপুরে বনধেরও ডাক দিয়েছিল গেরুয়া শিবির। বিক্ষোভ দেখাতে গিয়ে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন দলের মহিলা মোর্চার সভানেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায় ও নেতা সায়ন্তন বসু।
[ দিনেদুপুরে স্কুলের ভিতরই চলল এলোপাথাড়ি গুলি, জখম দুই শিক্ষক]
বিজেপি কর্মীকে খুনের ঘটনায় ৯ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়েছে থানায়। তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। কাঁকসার তৃণমূল পরিচালিত মলানদিঘি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান পীষূষ মুখোপাধ্যায় অবশ্য গ্রেপ্তার হননি। তবে তিনিও অন্যতম অভিযুক্ত। শাসকদলের পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে এফআইআর হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, গ্রেপ্তারির আশঙ্কায় পঞ্চায়েতে আসছেন না মলানদিঘি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান পীষূষ মুখোপাধ্যায়। আত্মগোপন করেছেন তিনি। পঞ্চায়েত প্রধানের দাবি, আসানসোল প্রশিক্ষণ নিয়ে ব্যস্ত রয়েছেন। তাই নিয়মিত পঞ্চায়েত অফিসে যেতে পারছেন না। তবে দলের পঞ্চায়েত প্রধান যে আত্মগোপন করেছেন, তা কার্যত স্বীকার করে নিয়েছেন শাসকদলের পশ্চিম বর্ধমানের জেলা সভাপতি ভি শিবদাসন। তিনি জানিয়েছেন, পীষূষ মুখোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করেছে বিজেপি। তিনি এখন বাইরে আছেন। কয়েকদিনের মধ্যে পঞ্চায়েত অফিসে যাবেন। এদিকে আবার বিজেপি খুনের অভিযুক্ত পঞ্চায়েত প্রধানের আত্মগোপনের ঘটনায় শাসকদলেরই একাংশ ক্ষুদ্ধ বলে শোনা যাচ্ছে।
ছবি: উদয়ন গুহরায়
[মেয়েকে ৭ বছর ঘরে তালাবন্দি করে রাখল বাবা ও সৎ মা]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.