Advertisement
Advertisement
Murshidabad

গভীর রাতে ‘মরে গেল’ বলে চিৎকার, তারপরই উদ্ধার মাধ্যমিকের ছাত্রের দেহ, চাঞ্চল্য বেলডাঙায়

অনলাইন গেমে আসক্তি থেকেই সে আত্মহত্যা করেছে বলে অনুমান পরিবারের।

Deadbody of Madhyamik Student student found in Murshidabad, allegedly killing self while playing online game

প্রতীকী ছবি

Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:December 15, 2024 4:47 pm
  • Updated:December 15, 2024 4:49 pm  

কল্যাণ চন্দ, বহরমপুর: মোবাইল গেম খেলতে খেলতেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ল মাধ্যমিকের ছাত্র। মুর্শিদাবাদের বেলডাঙার চৈতন্যপুরের উদ্ধার হল তার ঝুলন্ত দেহ। শনিবার সাগর হালদার নামে বয়স ষোলর ওই ছাত্রর দেহ উদ্ধার করে পাঠানো হয়েছে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে। তদন্ত শুরু করেছে বেলডাঙা থানার পুলিশ। পরিবারের অনুমান, মোবাইল গেমে তীব্র আসক্তি ছিল ছেলের। গভীর রাত পর্যন্ত সে গেম খেলায় ব্যস্ত থাকত। তবে তা এমন প্রাণঘাতী হয়ে উঠবে, দুঃস্বপ্নেও কল্পনা করতে পারেননি কেউ।

সত্তরপুর গ্রামের প্যান্ডেল ব্যবসায়ী নীলরতন হালদারের একমাত্র পুত্র সাগর হালদার দেবপুর হাই স্কুলের ছাত্রী। আগামী বছর মাধ্যমিক পরীক্ষা দেওয়ার কথা ছিল। তার আগে টেস্টও দিয়েছিল সাগর। জানা যাচ্ছে, শুক্রবার রাতে আত্মীয়দের সঙ্গে পিকনিক সেরে নিজের বাড়ি ফিরে দোতলায় ঘুমিয়েছিল। শনিবার সকালে তার মা চুমকী হালদার ছেলের ঘরে ঢুকতে গিয়ে দেখেন, মাটিতে পড়ে রয়েছে সাগর। ঘরের সিলিং ফ্যান থেকে গামছা ঝুলছে। চুমকিদেবীর চিৎকার শুনে ছুটে আসেন পরিবারের অন্যান্যরা। তাঁরা বুঝতে পারেন, ছেলে আত্মহত্যা করেছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছে সাগর হালদারকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে পাঠালে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।

Advertisement

এ বিষয়ে মৃতের বাবা নীলরতন হালদার জানাচ্ছেন, সাগর রাত ১টা পর্যন্ত মোবাইল ঘাঁটত। মাঝেমধ্যে গভীর রাতে ‘মরে গেল মরে গেল’ বলে চিৎকার করত। মোবাইলে ভিডিও গেম খেলে খেলে ঘুমের ঘোরে চিৎকার করা অভ্যাস হয়ে দাঁড়িয়েছিল সাগরের। কিন্তু এসব বিষয়কে গুরুত্ব দেননি তাঁরা। তা যে এতটা বিপজ্জনক হয়ে উঠবে, ভাবতেই পারেননি কেউ। নীলরতনবাবু আরও জানান, তিনি ছেলের পাশের ঘরেই থাকেন। ওইদিন রাত ১টার সময় সাগর শৌচালয়ে গিয়েছিল, তা তিনি টের পেয়েছিলেন। কিন্তু ছেলে যে এমন কাণ্ড ঘটাবে, তা ঘুণাক্ষরেও টের পাননি।

পরিবারের লোকজন জানাচ্ছেন, শনিবার সকালে খাটের উপর চেয়ার তুলে ফ্যানের গামছা লাগিয়ে ঝুলে পড়েছিল সাগর। সেই গামছা ফসকে গিয়ে মাটিতে পড়েও গিয়েছিল সে। পরিবারের এক সদস্য নীরেন মণ্ডল বলেন, ”সাগর মোবাইলে কয়েকজন বন্ধুর সঙ্গে অনলাইনে গেম খেলত। শুক্রবার গভীর রাতে সেই গেম চলাকালীন কেউ হয়তো তাকে আত্মহত্যার জন্য প্ররোচিত করেছিল বলে মনে হচ্ছে।” গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে বেলডাঙা থানার পুলিশ।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement